বৈদেশিক ইনকামিং কলের তথ্য কল ডিটেইল রেকর্ডার (সিডিআর) থেকে মুছে সরকারের
৬১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিটিসিএলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক
(এমডি) এসওএম কলিমুল্লাহ ও সাবেক তিন এমডিসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলার
অনুমোদন দিয়েছে দুদক। গতকাল রবিবার কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে এ মামলার অনুমোদন
দেওয়া হয়। দুদকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা পৃথক চারটি মামলার অনুমোদনের বিষয়টি
কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, সিডিআর দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি মামলা দায়েরের সুপারিশসহ কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করে দুদকের অনুসন্ধানকারী দল। প্রায় সাড়ে চার মাস গড়িমসির পর অবশেষে রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন টেলিফোন কম্পানির এই বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হলো। ওই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হিসেবে অভিযুক্তদের কয়েকজন ইতিমধ্যে দেশ ছেড়েছেন। দুর্নীতিবাজ চক্রটির প্রধান হিসেবে পরিচিত বিটিসিএলের সদস্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ তৌফিকও গতকাল বাংলাদেশের বাইরে ছুটিতে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
অভিযুক্ত সাবেক তিন এমডি হলেন খবিরুজ্জামান, আফসারুল আলম ও ড. আবু সায়ীদ খান। এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন এডিই রোনেল চাকমা, বদিউল আলম, ডিই হাবিবুর রহমান প্রামাণিক, জিএম (ওটিআর) আনোয়ারুল মামুন ও সদস্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ তৌফিক। এ ছাড়া এই মামলায় আসামি হচ্ছেন এরিকসন বাংলাদেশ লিমিটেডের তিন কর্মকর্তা- কন্ট্রাক্ট ম্যানেজার আসিফ জাহিদ, রিলেশন ম্যানেজার নজরুল ইসলাম ও প্রকৌশলী মাসরুরুল হাকিম। এসব কর্মকর্তা পরস্পরের যোগসাজশে অবৈধ ভিওআইপি ও সিডিআর দুর্নীতির মাধ্যমে ৬১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। বিটিসিএলের ভিওআইপি কেলেঙ্কারির বিষয়ে অনুসন্ধান করে দুদকের উপপরিচালক এস এম সাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম। দুদক কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই মামলা হতে যাচ্ছে।
সূত্রে জানা যায়, বৈদেশিক ইনকামিং কল ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডাবি্লউ) দিয়ে দেশে প্রবেশের পর মহাখালীর আন্তর্জাতিক এঙ্চেঞ্জের আইটিএঙ্-৫ এবং আইটিএঙ্-৭ নামের দুটি সাব স্টেশন হয়ে তিনটি ইন্টারকানেকশন এঙ্চেঞ্জের (আইসিএঙ্) মাধ্যমে বিভিন্ন অপারেটরে পেঁৗছে থাকে। কিন্তু মহাখালী এঙ্চেঞ্জের ইনকামিং কল অবৈধভাবে ভিওআইপির মাধ্যমে কলের ডাটা সংরক্ষণ না করে আইটিএঙ্-৫-এর ডিভাইস বিকল করে ইনকামিং কল বাইপাস করা হয়। পাশাপাশি আইটিএঙ্-৭ নম্বর সিডিআরে কলের ডাটা রেকর্ড করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। বিশেষ কায়দায় কল ডাটা মুছে এবং আইটিএঙ্ েদুটি অবৈধ রুট (বি-টেবিল) চালু করে ইনকামিং কল বাইপাস করা হয়। এভাবে ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিটিসিএলের আইটিএঙ্-৫ এবং আইটিএঙ্-৭-এর মাধ্যমে বিটিসিএল আইসিএঙ্, এনজিএন-ট্যাঙ্ হয়ে দেশে প্রবেশ করা মোট কলের পরিমাণ ছিল ৪৫২ কোটি ৬৮ লাখ ৫৬ হাজার ৯৩৩ মিনিট। কিন্তু বিটিসিএলের আইটিএঙ্-৫ এবং আইটিএঙ্-৭ কর্তৃক প্রদর্শিত কলের পরিমাণ দেখানো হয় ২৪০ কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার ৮৮৬ মিনিট। অর্থাৎ বৈদেশিক ইনকামিং কলের সঙ্গে বিটিসিএলের ইনকামিং কলের পার্থক্য ২১১ কোটি ৮৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮ মিনিট। যার আনুমানিক মূল্য ৬১০ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, সিডিআর দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি মামলা দায়েরের সুপারিশসহ কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করে দুদকের অনুসন্ধানকারী দল। প্রায় সাড়ে চার মাস গড়িমসির পর অবশেষে রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন টেলিফোন কম্পানির এই বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হলো। ওই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হিসেবে অভিযুক্তদের কয়েকজন ইতিমধ্যে দেশ ছেড়েছেন। দুর্নীতিবাজ চক্রটির প্রধান হিসেবে পরিচিত বিটিসিএলের সদস্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ তৌফিকও গতকাল বাংলাদেশের বাইরে ছুটিতে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
অভিযুক্ত সাবেক তিন এমডি হলেন খবিরুজ্জামান, আফসারুল আলম ও ড. আবু সায়ীদ খান। এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন এডিই রোনেল চাকমা, বদিউল আলম, ডিই হাবিবুর রহমান প্রামাণিক, জিএম (ওটিআর) আনোয়ারুল মামুন ও সদস্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ তৌফিক। এ ছাড়া এই মামলায় আসামি হচ্ছেন এরিকসন বাংলাদেশ লিমিটেডের তিন কর্মকর্তা- কন্ট্রাক্ট ম্যানেজার আসিফ জাহিদ, রিলেশন ম্যানেজার নজরুল ইসলাম ও প্রকৌশলী মাসরুরুল হাকিম। এসব কর্মকর্তা পরস্পরের যোগসাজশে অবৈধ ভিওআইপি ও সিডিআর দুর্নীতির মাধ্যমে ৬১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। বিটিসিএলের ভিওআইপি কেলেঙ্কারির বিষয়ে অনুসন্ধান করে দুদকের উপপরিচালক এস এম সাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম। দুদক কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই মামলা হতে যাচ্ছে।
সূত্রে জানা যায়, বৈদেশিক ইনকামিং কল ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডাবি্লউ) দিয়ে দেশে প্রবেশের পর মহাখালীর আন্তর্জাতিক এঙ্চেঞ্জের আইটিএঙ্-৫ এবং আইটিএঙ্-৭ নামের দুটি সাব স্টেশন হয়ে তিনটি ইন্টারকানেকশন এঙ্চেঞ্জের (আইসিএঙ্) মাধ্যমে বিভিন্ন অপারেটরে পেঁৗছে থাকে। কিন্তু মহাখালী এঙ্চেঞ্জের ইনকামিং কল অবৈধভাবে ভিওআইপির মাধ্যমে কলের ডাটা সংরক্ষণ না করে আইটিএঙ্-৫-এর ডিভাইস বিকল করে ইনকামিং কল বাইপাস করা হয়। পাশাপাশি আইটিএঙ্-৭ নম্বর সিডিআরে কলের ডাটা রেকর্ড করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। বিশেষ কায়দায় কল ডাটা মুছে এবং আইটিএঙ্ েদুটি অবৈধ রুট (বি-টেবিল) চালু করে ইনকামিং কল বাইপাস করা হয়। এভাবে ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিটিসিএলের আইটিএঙ্-৫ এবং আইটিএঙ্-৭-এর মাধ্যমে বিটিসিএল আইসিএঙ্, এনজিএন-ট্যাঙ্ হয়ে দেশে প্রবেশ করা মোট কলের পরিমাণ ছিল ৪৫২ কোটি ৬৮ লাখ ৫৬ হাজার ৯৩৩ মিনিট। কিন্তু বিটিসিএলের আইটিএঙ্-৫ এবং আইটিএঙ্-৭ কর্তৃক প্রদর্শিত কলের পরিমাণ দেখানো হয় ২৪০ কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার ৮৮৬ মিনিট। অর্থাৎ বৈদেশিক ইনকামিং কলের সঙ্গে বিটিসিএলের ইনকামিং কলের পার্থক্য ২১১ কোটি ৮৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮ মিনিট। যার আনুমানিক মূল্য ৬১০ কোটি টাকা।
- কালের
কণ্ঠ
COMMENTS