ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলা ও গাজীপুর সদর থানার সীমান্তবর্তী তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সামনে ময়মনসিংহের শামীম এন্টারপ্রাইজের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শামীম পরিবহনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক পৌনে ১০ টার দিকে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। তবে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানোয়ার হোসেন জানান, ময়মনসিংহগামী শামীম এন্টারপ্রাইজের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শামীম পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৬২৪৩) মহাসড়কের পাশে “পুষ্পদাম পিকনিক” স্পটের খোলা জায়গায় পার্কিং করে যাত্রা বিরতি করছিল। এসময় পরিবহনের ব্যবস্থাপকসহ সকল যাত্রী পরিবহন থেকে নেমে নাস্তা ও প্রাকৃতিক কাজ করার জন্য যায়।
কিছুক্ষন পর পরিবহনের ব্যবস্থাপক, সুপারভাইজার, চালক ও হেলপার গাড়িতে ওঠে পেছন দিক থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে। পরে পার্শ্ববর্তী পুষ্পদাম পিকনিক স্পটের মটরের সাহায্যে পানি সরবরাহ করে আগুণ নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়। ততক্ষনে গাড়ির চার তৃতীয়াংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানোয়ার হোসেন জানান, ময়মনসিংহগামী শামীম এন্টারপ্রাইজের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শামীম পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৬২৪৩) মহাসড়কের পাশে “পুষ্পদাম পিকনিক” স্পটের খোলা জায়গায় পার্কিং করে যাত্রা বিরতি করছিল। এসময় পরিবহনের ব্যবস্থাপকসহ সকল যাত্রী পরিবহন থেকে নেমে নাস্তা ও প্রাকৃতিক কাজ করার জন্য যায়।
মাওনা হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট তওহিদ ওই পরিবহনের সুপারভাইজারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ধারনা করা হচ্ছে কোনো যাত্রী সিগারেট খেয়ে অসাবধানতাবসত সীটে ফেলে থাকতে পারে। এ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। তবে এ ঘটনায় কোনো জিডি বা মামলা দায়ের করা হয়নি।
হোতাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম জানান, মহাসড়কের কোথাও কোনো জায়গায় পরিবহনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা আমার জানা নেই।
শামীম এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক আরিফুল ইসলাম (সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায়) জানান, আমাদেরতো কোনো শত্রু নেই। কিভাবে গাড়িতে আগুন লাগলো তা বুঝতে পারছিনা। তবে ঘটনাস্থল জয়দেবপুর থানা এলাকায় হওয়ায় আমাদের পক্ষ থেকে ওই থানায় জিডি করার প্রক্রিয়া চলছে।
তবে ঘটনাটি জয়দেবপুর সদর থানার সীমান্তবর্তী হওয়ায় মাওনা হাইওয়ে থানা এবং হোতাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির রেশারেশিতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো সাধারন ডায়েরী (জিডি) বা মামলা দায়ের করা হয়নি। তারা একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে নিজেদের দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি এখনও নির্দিষ্ট স্থানে পড়ে রয়েছে। তবে স্থানীয়রা ধারনা করছেন কোনো দুষ্কৃতিকারী চক্র নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
- শিহাব খান, শ্রীপুর
COMMENTS