তথ্যপ্রযুক্তি আইনের সংশোধন তড়িঘড়ি করে অধ্যাদেশ জারি করে আইনে পরিণত করা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্ট আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি আইন বিশেষজ্ঞ, মানবাধিকার কর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা।
তাদের প্রশ্ন, সংসদের অধিবেশনের তারিখ ঘোষণার পর কেন এত দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করে আইনে পরিণত করা হলো।
অধ্যাদেশ জারির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন
বলেন, যে আইনে বাকস্বাধীনতা কিংবা মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার প্রশ্ন ওঠে,
তা অবশ্যই অধ্যাদেশ জারি করে কার্যকর করা উচিত নয়।
তথ্যপ্রযুক্তি আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার আনীক আর হক বলেন, এখন তো এই
অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে মতামত দেওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেল। যে কোনো মতামতকেই
সরকার মানহানিকর কিংবা উস্কানিমূলক উল্লেখ করে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার
করতে পারে।
সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকারের ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে
বিষয়টি উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলেও জানিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞ ও
মানবাধিকার কর্মীরা।
তথ্য ও যোগাযোগ সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, সংশোধনটি করা হয়েছে মূলত
অনলাইনে অশ্লীল ছবি কিংবা ভিডিওচিত্র দিয়ে নারীর সামাজিক মর্যাদাহানি রোধ
করার জন্য। এ সংশোধন স্বাধীন মতামত প্রকাশে বাধা হবে না বলেও মত দেন তিনি।
উল্লেখ্য, আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বুধবার বিকেলে জানান,
সংশোধনটি অধ্যাদেশ হিসেবে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। এখন থেকে এটি আইনে
পরিণত হবে। পরে এটি সংসদে তোলা হবে।
COMMENTS