আগামি ১২ সেপ্টেম্বরের সংসদ অধিবেশনে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল আনার আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, দেশের ভালো ও কল্যাণ চাইলে সকলের অংশ গ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের আলোচনায় কূটনীতিক ও দাতা গোষ্ঠীর সদস্যরাও সবার অংশ গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিতকরণের পরামর্শ দিয়েছেন।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, দেশের ভালো ও কল্যাণ চাইলে সকলের অংশ গ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের আলোচনায় কূটনীতিক ও দাতা গোষ্ঠীর সদস্যরাও সবার অংশ গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিতকরণের পরামর্শ দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য গৌতম চক্রবর্তী। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হিন্দু সমপ্রদায়ের নেতারা বিএনপি চেয়ারপার্সনকে শুভেচ্ছা জানান।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে না। কারণ তাদের কাছে অস্ত্র রয়েছে। মানুষ এই সরকারের প্রতি ভীতসন্ত্রস্ত্র।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, নির্বাচন একটি খেলা। তাই আমরা লেভেল প্লেইং ফিল্ডের কথা বলেছি। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে অপদার্থ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমার অধীনে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে কাজ করেছে। আমি তাকে জানি।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, প্রায় এক কোটির বেশি ভূয়া ভোটার রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের মতো জ্বালাও পোড়াও করব না। নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।
পূজা উদযাপন কমিটির উপদষ্টো সুব্রত চৌধুরী হিন্দুদের জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সনের কাছে ৬০টি আসন দাবি করেন। এ প্রসঙ্গে বেগম জিয়া বলেন, আসুন আমাদের সঙ্গে কাজ করুণ। আওয়ামী লীগ হিন্দুদের ব্যবহার করেছে।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. এম ওসমান ফারুক, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক নিতাই রায়, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, অপর্ণা রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সুকোমল বড়ুয়া, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দেবব্রত পাল, জাতীয়তাবাদী যুব দলের সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দেবাশীষ রায় মধু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
COMMENTS