নবগঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান বলেছেন,
সাবেক টঙ্গী পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারী ও সাবেক টঙ্গী পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট
আজমত উল্লাহ খানের কোটি কোটি টাকার অনিয়ম দুর্নীতি খতিয়ে দেখা হবে। সাবেক
মেয়ররা ৮১ কোটি টাকারও বেশি ঋণ দেখিয়ে বিদায় নিয়েছেন। কিভাবে এবং কেন এই ঋন
হল এ বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। অনিয়ম আর দুর্নীতি না করলে
কোনো ভাবেই এত টাকা ঋণ হওয়ার কথা নয়। অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সাবেক
টঙ্গী পৌরসভার হিসাব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রকৌশলী মুজাহিদ,তত্ত্বাবধায়ক
প্রকৗশলী খায়রুল ইসলামসহ একাধিক কর্মকর্তার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার
অভিযোগ প্রমাণিত হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বুধবার গাজীপুর সিটি
করপোরেশনের নগরভবন টঙ্গী অঞ্চল কার্যালয়ে মেয়র ও কাউন্সিলরদের প্রথম আগমন
উপলক্ষে পৌরসভা কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্যোগে নগরভবন সভাকক্ষে আয়োজিত
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নগরভবন টঙ্গী অঞ্চল
কার্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুনশী শাহাবুদ্দীন আহম্মেদের
সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সাবেক সংসদ সদস্য হাসান
উদ্দিন সরকার, গাজীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এসএম শাহেনশাহ আলম, ডা.
নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কাউন্সিলর হেলাল
উদ্দিন, নুরুল ইসলমা নুরু, শেখ আলেক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-
প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহজাহান সিরাজ সাজু, থানা প্রেস ক্লাবের সাধারণ
সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ভূইয়াসহ টঙ্গীর ১৫টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্থানীয়
নেতারা। মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান আরও বলেন, গাজীপুরের মানুষ দলমত
নির্বিশেষে আমাকে ভোট দিয়েছে। আমি জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নগরের
উন্নয়ন করতে চাই। এই অঞ্চলের মানুষকে আধুনিক নগর উপহার দিতে চাই। তাই সবার
সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী অধ্যাপক এমএ মান্নান টেলিভিশন প্রতীকে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪৪৪ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান দোয়াত-কলম প্রতীকে পান ২ লাখ ৫৮ হাজার ৮৬৭ ভোট। ১২ আগস্ট শপথ গ্রহণের পর ১৮ আগস্ট রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে ওই দিন বিকালে নগরভবনে গিয়ে প্রশাসকের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন এমএ মান্নান।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী অধ্যাপক এমএ মান্নান টেলিভিশন প্রতীকে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪৪৪ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান দোয়াত-কলম প্রতীকে পান ২ লাখ ৫৮ হাজার ৮৬৭ ভোট। ১২ আগস্ট শপথ গ্রহণের পর ১৮ আগস্ট রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে ওই দিন বিকালে নগরভবনে গিয়ে প্রশাসকের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন এমএ মান্নান।
COMMENTS