গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পিস্তল ঠেকিয়ে চাঁদাদাবির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
গত মঙ্গলবার গাজীপুরের বিচারিক আদালতে এক ভুক্তভোগী নারী এ মামলা দায়ের করেছেন। একই সঙ্গে মামলার বাদী আদালতের কাছে নিজের নিরাপত্তা দাবি করেন। বিচারক গাজীপুর গোয়েন্দা বিভাগ ও কাপাসিয়া থানার পরিদর্শককে মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, গত শনিবার কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের মিয়া হোসেনের বাড়িতে গিয়ে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম একটি ট্রাক্টর (ঢাকা মেট্রো ই-১১৯০৮১) আটক করে মালিকানা চ্যালেঞ্জ করে।
জানা গেছে, গত শনিবার কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের মিয়া হোসেনের বাড়িতে গিয়ে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম একটি ট্রাক্টর (ঢাকা মেট্রো ই-১১৯০৮১) আটক করে মালিকানা চ্যালেঞ্জ করে।
জহিরুল ইসলাম এক পর্যায়ে মিয়া হোসেনের স্ত্রী হাজেরা খাতুনের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। নইলে ট্রাক্টরসহ তাঁকে থানায় ধরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। এ সময় সহকারী উপ-পরিদর্শক জহিরুল ইসলামের সঙ্গে একজন অজ্ঞাতপরিচয় কনস্টেবলসহ আরো চারজন সহযোগী ছিল।
সহকারী উপ-পরিদর্শকের হুমকি-ধমকিতে হাজেরা খাতুন ভয়ে টাকা দিতে রাজি হন। কিন্তু নগদ টাকা না থাকায় তিনি তিন দিনের সময় নেন। অবশেষে টাকা না দিয়ে হাজেরা খাতুন গত মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নম্বর-৪এর বিচারক ফারজানা খানের আদালতে একটি মামলা ( নম্বর-৩২১) দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে তিনি নিজের নিরাপত্তাও দাবি করেছেন।
মামলার বাদী হাজেরা খাতুন অভিযোগ করেন, ‘ট্রাক্টরটির মালিক আমার মৃত ছেলে। দারোগা জহিরুল ইসলাম আমার পুত্রবধূ ও তাঁর ভাইয়ের ভাড়াটে ক্যাডার সেজে আমাকে হুমকিসহ মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ২০ হাজার টাকা দাবি করে।’
এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘শিবলী নামের একজন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ পেয়ে হাজেরা খাতুনের বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওখানে কোন টাকা দাবি করেনি। হাজেরা খাতুন কারো প্ররোচনায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
কাপাসিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘মামলায় হাজেরা খাতুন অভিযোগ করেছেন তাঁর মাথায় সরকারি পিস্তল ঠেকিয়ে ২০হাজার টাকা দাবি করেছেন। কিন্তু সহকারী উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলামের নামে কোন পিস্তল বরাদ্দ নেই। যে ট্রাক্টর নিয়ে হাজেরা খাতুন এসব অভিযোগ করছেন ওই ট্রাক্টরটির প্রকৃত মালিক তাঁর শিশু নাতি।’
COMMENTS