অবশেষে নোবেল জয়ী গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহম্মসদ ইউনুস সরাসরি রাজনীতিতে আসছেন। দলের নাম দিয়েছেন ‘গ্রামীন পার্টি বাংলাদেশ’(জিপিবি)। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ রাজনৈতিক দলের ঘোষনা দিতে পারেন বলে তার একটি ঘনিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী এই রাজনৈতিক দলের কার্যালয় হবে রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত ‘ইউনুস সেন্টার’। দলের আত্মপ্রকাশের পরই নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হবে নির্বাচন কমিশনে।
ড. ইউনুসকে নিয়ে যখন পক্ষে বিপক্ষে নানা আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে তখন তিনি তার অনুসারীদের নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন প্রক্রিয়া প্রায় চুড়ান্ত করে ফেলেছেন। দলে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন। মহাসচিব ও প্রেসিডিয়ামসহ ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি থাকবে। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম হবে ২১ সদস্যের প্রেসিডিয়াম।
এদিকে দল গঠনের পরই আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সমমনা ১০টি দল নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনুছ। এ লক্ষে তিনি অনেক দুর এগিয়ে গেছেন। আলোচনাও করেছেন কয়েকটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে।
সূত্র জানায়, ড. ইউনুসের নতুন রাজনৈতিক দল ‘গ্রামীন পার্টি বাংলাদেশ’(জিপিবি)’র সাথে যোগ দিয়ে জোট গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের গণফেরাম, বি চৌধুরীর বিকল্পধারা, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, মাহমুদুর রহমানের নাগরিক ঐক্য পরিষদ ও আ স ম আব্দুর রবের জাসদসহ সমমনা ১০টি দল।
ইতিমধ্যে উল্লেখিত রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে জোট গঠনের ব্যাপারে আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নতুন এ জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষনা আসবে বলে সূত্র জানায়।
গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে ইউনূস সেন্টারে আবদুল কাদের সিদ্দিকীর নের্তৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক-জনতা লীগের নেতাদের সঙ্গে এক মত বিনিময় শেষে ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, দেশে অশান্তি দূর করতে ও সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য নির্দলীয় সরকারের অধীন ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে আগামী সংসদ নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, দেশে অশান্তির কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছে। এ অশান্তি দেশের মানুষের প্রাপ্য নয়। কারও কারও ইচ্ছার কারণে, কোনো দল বা দলসমূহের ইচ্ছার কারণে যদি অশান্তির সৃষ্টি হয়, তাহলে দেশের মানুষ তাঁদের ক্ষমা করবে না।আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আকুল আবেদন করছি, আপনারা সমঝোতায় আসুন। আলাপ আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করুন। নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণেই হতে হবে।
কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেন, বৈঠকে আমরা একমত হয়েছি। এসময় তাঁর দল কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. ইউনূসের পাশে থাকবে এবং গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষতি হতে দেবে না। গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসে সরকার যে পাঁয়তারা করছে, তা রুখে দিতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।
এদিকে তত্ত্ববধায়ক ইস্যু নিয়ে ড. ইউনুছের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনায় সরকারী দলের এমপি মন্ত্রী ও সিনিয়র নেতারা।
বৃহস্পতিবার সিলেটে এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, অধ্যাপক ইউনূস অত্যন্ত কৌশলী রাজনীতিবিদ। তবে তিনি রাজনীতির পোশাকটা পরতে চান না। এখন তিনি যা করছেন তা একান্তই রাজনীতিবিদদের কাজ এবং সম্পূর্ণ নীতিবর্জিত এবং গ্রামীণ ব্যাংকে ধ্বংস করার উদ্যোগ।
কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার কাকিলাদহ এলাকায় জাস্টিস রাধা বিনোদ পাল মডেল ভিলেজ স্মৃতি ফলক ও চক্ষু শিবির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ড. ইউনূসের দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেছেন, তিনি দীর্ঘদিন পর ঘোমটা খুলে রাজনীতিতে এসেছেন, এজন্য আমরা তাকে অভিনন্দন, ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
তিনি ওয়ান ইলেভেনের সময় ফখরুদ্দিন ও মইনুদ্দিনকে নিয়ে রাজনীতির মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু দু’দিনের ব্যবধানে তিনি মাঠ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এবার আশা করবো তিনি রাজনীতির মাঠ ছেড়ে চলে যাবেন না। আমরাও তার সঙ্গে রাজনৈতিক ভাষায় কথা বলবো।
সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস একজন রাষ্ট্রদ্রোহী। কারণ তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেছেন। এজন্য তার বিচার হওয়া উচিত। সরকারি দলের নেতারা ড. ইউনুসকে রাজনীতির নতুন পীর বলে আখ্যা দিয়ে নানা মন্তব্য অব্যাহত রেখেছেন।
ড. ইউনুসের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এমন একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে বাংলাদেশ গ্রামীন পার্টিই হবে বৃহৎ রাজনৈতিক প্লাটফরম। চিহ্নিত কতিপয় রাজনৈতিক নেতা ছাড়া দেশের সৎ ও যোগ্য নাগরিকেরাই এ দলের সদস্য হতে পারবেন।
জোট মহাজোটের বাইরে ড. ইউনুস, ড. কামাল, বি চৌধুরী, রব, মান্না ও কাদের সিদ্দিকীর নের্তৃত্বাধীন নতুন রাজনৈতিক জোটই হবে দেশের সবচেয়ে আদর্শিক রাজনৈতিক জোট এমন দাবি ড. ইউনুসের ঘনিষ্ঠদের। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ জোট ৩শ’ আসনে যোগ্য প্রার্থী দাঁড় করানোর চেষ্টা করবে।
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী এই রাজনৈতিক দলের কার্যালয় হবে রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত ‘ইউনুস সেন্টার’। দলের আত্মপ্রকাশের পরই নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হবে নির্বাচন কমিশনে।
ড. ইউনুসকে নিয়ে যখন পক্ষে বিপক্ষে নানা আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে তখন তিনি তার অনুসারীদের নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন প্রক্রিয়া প্রায় চুড়ান্ত করে ফেলেছেন। দলে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন। মহাসচিব ও প্রেসিডিয়ামসহ ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি থাকবে। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম হবে ২১ সদস্যের প্রেসিডিয়াম।
এদিকে দল গঠনের পরই আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সমমনা ১০টি দল নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনুছ। এ লক্ষে তিনি অনেক দুর এগিয়ে গেছেন। আলোচনাও করেছেন কয়েকটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে।
সূত্র জানায়, ড. ইউনুসের নতুন রাজনৈতিক দল ‘গ্রামীন পার্টি বাংলাদেশ’(জিপিবি)’র সাথে যোগ দিয়ে জোট গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের গণফেরাম, বি চৌধুরীর বিকল্পধারা, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, মাহমুদুর রহমানের নাগরিক ঐক্য পরিষদ ও আ স ম আব্দুর রবের জাসদসহ সমমনা ১০টি দল।
ইতিমধ্যে উল্লেখিত রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে জোট গঠনের ব্যাপারে আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নতুন এ জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষনা আসবে বলে সূত্র জানায়।
গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে ইউনূস সেন্টারে আবদুল কাদের সিদ্দিকীর নের্তৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক-জনতা লীগের নেতাদের সঙ্গে এক মত বিনিময় শেষে ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, দেশে অশান্তি দূর করতে ও সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য নির্দলীয় সরকারের অধীন ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে আগামী সংসদ নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, দেশে অশান্তির কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছে। এ অশান্তি দেশের মানুষের প্রাপ্য নয়। কারও কারও ইচ্ছার কারণে, কোনো দল বা দলসমূহের ইচ্ছার কারণে যদি অশান্তির সৃষ্টি হয়, তাহলে দেশের মানুষ তাঁদের ক্ষমা করবে না।আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আকুল আবেদন করছি, আপনারা সমঝোতায় আসুন। আলাপ আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করুন। নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণেই হতে হবে।
কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেন, বৈঠকে আমরা একমত হয়েছি। এসময় তাঁর দল কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. ইউনূসের পাশে থাকবে এবং গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষতি হতে দেবে না। গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসে সরকার যে পাঁয়তারা করছে, তা রুখে দিতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।
এদিকে তত্ত্ববধায়ক ইস্যু নিয়ে ড. ইউনুছের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনায় সরকারী দলের এমপি মন্ত্রী ও সিনিয়র নেতারা।
বৃহস্পতিবার সিলেটে এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, অধ্যাপক ইউনূস অত্যন্ত কৌশলী রাজনীতিবিদ। তবে তিনি রাজনীতির পোশাকটা পরতে চান না। এখন তিনি যা করছেন তা একান্তই রাজনীতিবিদদের কাজ এবং সম্পূর্ণ নীতিবর্জিত এবং গ্রামীণ ব্যাংকে ধ্বংস করার উদ্যোগ।
কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার কাকিলাদহ এলাকায় জাস্টিস রাধা বিনোদ পাল মডেল ভিলেজ স্মৃতি ফলক ও চক্ষু শিবির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ড. ইউনূসের দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেছেন, তিনি দীর্ঘদিন পর ঘোমটা খুলে রাজনীতিতে এসেছেন, এজন্য আমরা তাকে অভিনন্দন, ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
তিনি ওয়ান ইলেভেনের সময় ফখরুদ্দিন ও মইনুদ্দিনকে নিয়ে রাজনীতির মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু দু’দিনের ব্যবধানে তিনি মাঠ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এবার আশা করবো তিনি রাজনীতির মাঠ ছেড়ে চলে যাবেন না। আমরাও তার সঙ্গে রাজনৈতিক ভাষায় কথা বলবো।
সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস একজন রাষ্ট্রদ্রোহী। কারণ তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেছেন। এজন্য তার বিচার হওয়া উচিত। সরকারি দলের নেতারা ড. ইউনুসকে রাজনীতির নতুন পীর বলে আখ্যা দিয়ে নানা মন্তব্য অব্যাহত রেখেছেন।
ড. ইউনুসের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এমন একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে বাংলাদেশ গ্রামীন পার্টিই হবে বৃহৎ রাজনৈতিক প্লাটফরম। চিহ্নিত কতিপয় রাজনৈতিক নেতা ছাড়া দেশের সৎ ও যোগ্য নাগরিকেরাই এ দলের সদস্য হতে পারবেন।
জোট মহাজোটের বাইরে ড. ইউনুস, ড. কামাল, বি চৌধুরী, রব, মান্না ও কাদের সিদ্দিকীর নের্তৃত্বাধীন নতুন রাজনৈতিক জোটই হবে দেশের সবচেয়ে আদর্শিক রাজনৈতিক জোট এমন দাবি ড. ইউনুসের ঘনিষ্ঠদের। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ জোট ৩শ’ আসনে যোগ্য প্রার্থী দাঁড় করানোর চেষ্টা করবে।
COMMENTS