লায়েকুজ্জামান:
আওয়ামী লীগে উপেক্ষিতই রইলেন ডাকসুর সাবেক চার ভিপি। দলের নীতিনির্ধারক মহলে তাদের জায়গা হচ্ছে না। এদের মধ্যে তিনজন পাঁচ বছর ধরে দলে থেকেও নেই। দেশের মানুষ কেবল জানেন তারা আওয়ামী লীগের, এর বেশি কিছু নয়। এই নিয়ে ভেতরে ভেতরে অসম্ভব যন্ত্রণায় কাতর তোফায়েল আহমেদ বলেই ফেলেছেন-আমি আওয়ামী লীগের তোফায়েল, এটাই আমার বড় পরিচয়। সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে যখন ছাত্রদলের সীমাহীন আধিপত্য, সে সময়ে ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। এর আগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে পর পর দু’বার পরাজিত করে বাসদ ছাত্রলীগ থেকে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন মাহমুদুর রহমান মান্না এবং আখতারুজ্জামান। ডাকসুর এই সাবেক চার ভিপিই এখন আওয়ামী লীগে উপেক্ষিত। এদের মধ্যে কেবল মাহমুদুর রহমান মান্না দল সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে কিছু নেতিবাচক বক্তব্য দিয়েছেন। সমালোচনা অব্যাহত রেখেছেন। তবে অন্য তিনজন এখনও লেগে আছেন।
আওয়ামী লীগে উপেক্ষিতই রইলেন ডাকসুর সাবেক চার ভিপি। দলের নীতিনির্ধারক মহলে তাদের জায়গা হচ্ছে না। এদের মধ্যে তিনজন পাঁচ বছর ধরে দলে থেকেও নেই। দেশের মানুষ কেবল জানেন তারা আওয়ামী লীগের, এর বেশি কিছু নয়। এই নিয়ে ভেতরে ভেতরে অসম্ভব যন্ত্রণায় কাতর তোফায়েল আহমেদ বলেই ফেলেছেন-আমি আওয়ামী লীগের তোফায়েল, এটাই আমার বড় পরিচয়। সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে যখন ছাত্রদলের সীমাহীন আধিপত্য, সে সময়ে ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। এর আগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে পর পর দু’বার পরাজিত করে বাসদ ছাত্রলীগ থেকে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন মাহমুদুর রহমান মান্না এবং আখতারুজ্জামান। ডাকসুর এই সাবেক চার ভিপিই এখন আওয়ামী লীগে উপেক্ষিত। এদের মধ্যে কেবল মাহমুদুর রহমান মান্না দল সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে কিছু নেতিবাচক বক্তব্য দিয়েছেন। সমালোচনা অব্যাহত রেখেছেন। তবে অন্য তিনজন এখনও লেগে আছেন।
ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে দলে নেওয়া হয়েছিল, তাকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকও করা হয়েছিল। এখন তিনি দলে নেই। তাকে রাখার প্রয়োজন ছিল। যদিও রাগে ক্ষোভে দল সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলে এখন তিনি অনেক দূরে। মাহমুদুর রহমান মান্না তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি তোফায়েল আহমেদ ও আক্তারুজ্জামান সম্পর্কে কিছু বলব না। কারণ দলে কিছু না কিছু মূল্যায়ন তাদের হয়েছে। যদিও যেমন থাকার কথা সে রকম নেই, তবু কিছু হয়েছে। কিন্তু সুলতান মনসুরের একেবারেই নেই। একজন সাদাসিধে রাজনীতিবিদ সুলতান মনসুর কখনই অন্যদের মতো আখের গোছানোর চেষ্টা করেননি। তার উপেক্ষিত হওয়াটা দুঃখজনক। নিজের সম্পর্কে তিনি বলেন, বিগত পাঁচ বছরে আমি দলের কিছু ভুলের কথা তুলে ধরায় এখন বাস্তবে দলের সঙ্গে আমার অনেক দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমি একটি সংগঠন করেছি নাগরিক ঐক্য নামে। মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ বিগত নির্বাচনের আগে যে নীতির কথা ঘোষণা করেছিল, আমি এখনও সে নীতির সঙ্গে একমত, তবে তারা সে নীতিতে অটল থাকতে পারেনি বলে আমিও মানিয়ে নিতে পারিনি।
ডাকসুর আরেক সাবেক ভিপি আক্তারুজ্জামানকে সভানেত্রী নিজ উদ্যোগে দলে নিয়েছিলেন। তাকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকও করা হয়েছিল। তিনিও উপেক্ষিত। বিগত নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। শেষাবধি গাজীপুরের জেলা পরিষদের প্রশাসক নামের সান্ত্বনা পদটুকু তার কপালে জুটেছে। আগামী নির্বাচনেও তার ভাগ্যে মনোনয়ন জুটবে-এমন কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। ডাকসুর সাবেক ভিপি আক্তারুজ্জামান বলেন, পদে থাকি আর না থাকি সেটা মুখ্য বিষয় নয়। আজীবন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লড়াই করে যাব। এছাড়া আমি তো দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আছি, নেত্রী (শেখ হাসিনা) আমাকে গাজীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক বানিয়েছেন-এজন্য কৃতজ্ঞ। আমি মনে করি মন্ত্রীর চেয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পদ অনেক বড়।
আওয়ামী লীগে ডাকসুর চার সাবেক ভিপির উপেক্ষা সম্পর্কে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, কেউ উপেক্ষিত নন, দল কাউকে উপেক্ষা করে না। প্রত্যেক রাজনৈতিক নেতাই নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দলে তার জায়গা করে নেন।
COMMENTS