শ্রীপুর উপজেলায় বরমী ভূমি অফিসে চলছে তান্ডব লীলা, জন সাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার। বরমী বাজারের আশেপাশে অসংখ্য শিল্পকারখানা গড়ে উঠায় জমির উচ্চ হারে মূল্য বৃদ্ধি আশেপাশে খাস জমি থাকায় আবাদে টাকা ছড়াছড়ি। বরমী ভূমি অফিসে সাপ্তাহে ৯০টিরও বেশী জমি খারিজের দরখাস্ত আসে। আর তা সেন্ডিগেট করে কিছু অসাধু লোভী কর্মচারী ও দালাল চক্রের কাছে। জিম্মি জনসাধারণ জমি খারিজের দরখাস্তকারীদের বামছাম বুঝিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
জমি খারিজ দরখাস্তদাতারা চাপের তোপের মুখে পড়ে টাকা দিতে রাজী না হলে বৈধ সম্পদ খারিজ ছাড়া বিক্রয় করিতে পারছে না চরম বিপদে পড়েও। অনেকে আবার সম্পদ হারার ভয় মনে করে। ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা নেওয়ার পরেও সঠিক সময়ে কাজ করছে না। ৪ থেকে ৫ মাস ঘুরতে হচ্ছে পেছন পেছন।
গত ২০ আগষ্ট দুপুর ২টায় সরেজমিনে দেখা যায়, বরমী ভূমি অফিসে সহকারী (ভারপ্রাপ্ত) ছাড়া এল.এম.এস.এস দুজন থেকে একজনকেও দেখতে পাওয়া যায়নি। অফিসের লোকজনের প্রচুর উপচে পড়া ভির ছিল। ঘন্টা খানেক বসে দেখা যায়, এলোপাথারী ভাবে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, বরমী সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ কামরুজ্জামান গাজীপুর থেকে নিজস্ব প্রাইভেট গাড়ী, ঢাকা মেট্টো-গ-২৭-৬৮৭৯ নিয়ে ২ থেকে ৩ জন ব্যক্তিগত পিএস সাথে করে বরমী ভূমি অফিসে নিযে আসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নথী নং- ১০৬২/১২-১৩, বরামা ৩০ নং মৌজা এস.এ দাগ ১৩২, আর.এস দাগ ৫ জোতে মোট জমির পরিমান ৫৫ শতাংশ জানা যায়। নতুন করে তা ১৩২ শতাংশ জমির জোত খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। গত ১ জুলাই দুপুর ২.৩০ মিনিটে শ্রীপুর অজ্ঞাত নামা ব্যক্তি নামজারী ও জমাভাগ নথী নং- ১২০৮/১২-১৩ অফিসে চলাকালীন সময়ে প্রকাশ্যে নিয়ে চলে যায়। বরমী ডিগ্রি কলেজ এর প্রফেসর হুমায়ন কবির বলেন, আমার বৈধ সম্পদ থাকা স্বত্বেও খারিজ হচ্ছে না আজ নয় কাল বলে দামা চাপা দিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নথী নং- ১০৬২/১২-১৩, বরামা ৩০ নং মৌজা এস.এ দাগ ১৩২, আর.এস দাগ ৫ জোতে মোট জমির পরিমান ৫৫ শতাংশ জানা যায়। নতুন করে তা ১৩২ শতাংশ জমির জোত খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। গত ১ জুলাই দুপুর ২.৩০ মিনিটে শ্রীপুর অজ্ঞাত নামা ব্যক্তি নামজারী ও জমাভাগ নথী নং- ১২০৮/১২-১৩ অফিসে চলাকালীন সময়ে প্রকাশ্যে নিয়ে চলে যায়। বরমী ডিগ্রি কলেজ এর প্রফেসর হুমায়ন কবির বলেন, আমার বৈধ সম্পদ থাকা স্বত্বেও খারিজ হচ্ছে না আজ নয় কাল বলে দামা চাপা দিয়ে যাচ্ছে।
বরমী ইউনিয়ন পরিষদের মনোনীত সার্ভেয়ার মজিবুর রহমান (লিটন) বলেন, এল.এম.এস.এস নজরুল ও আলা-আমিন অফিসের জরুরী প্রয়োজনেও পাওয়া যায় না প্রায় সময় বাহিরে থাকে। আবার অনেকে না এসেও হাজিরা খাতায় নিরবে স্বাক্ষর করে চলছে। বরমী ভূমি অফিসের অনেকেই জমি ব্যবসার সাথে জড়িত। তাই পাঁচ তলা বাড়ী তৈরি করার কাজও নিয়মিত চলছে।
বরমীর সচেতন নাগরিকগণ বলেন, বরমী ভূমি অফিসে তান্ডব লীলা অনুসন্ধানের জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
COMMENTS