গাজীপুরে অবস্থিত ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে শিমুলতলী- জয়দেবপুর সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ক্যাম্পাসের পরিসর বাড়ানোর জন্য জমির দাবিতে ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল থেকে তারা এ কর্মসুচী শুরু করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, দেশের সবগুলি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শতাধিক একর জমি রয়েছে। কিন্তু ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি রয়েছে মাত্র ২০ একর। জমি কম থাকায় একটি ভবনে প্রশাসনিক কার্যক্রম ও শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ওই পরিমান জমিতেই ৫টি হল, লাইব্রেরী, দুইটি একাডেমিক ভবন, মসজিদ গড়ে ওঠায় খেলার জন্য প্রয়োজনীয় মাঠ নেই। শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ্ আল মাসুম বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর দীর্ঘ জটিলতার পর সি.সি.এফ কর্তৃক ৪ একর জমি ডিরিজার্ভ করার সু-স্পষ্ট প্রস্তাবনা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু এর যৌক্তিকতা যাচাই করে দুই একর জমির বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য মন্ত্রনালয় থেকে নতুন চিঠি ইস্যু করা হয়। ওই অযৌক্তিক চিঠি আমলাদের স্বেচ্ছাচারিতা এবং ভূমি না দেয়ার পায়তারা। এ বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
শিক্ষার্থীরা জানায়, আজ ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জমির দাবীতে মানববন্ধন করে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দীন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক বলে দাবী করেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংসদ ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা যাতে ক্লাস করে আন্দোলন চালিয়ে যায় সে ব্যাপারে আলোচনা করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৬ মে ক্যাম্পাসের জমি সম্প্রসারনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন শুরু করে। পরে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে। কর্মসূচীর মধ্যে শিক্ষার্থীরা গাজীপুর শহরে ও চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মানববন্ধন, সমাবেশ করেছে। এছাড়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন, আইন প্রনেতাদের নিকট স্বারকলিপি প্রদান ও ঢাকামুখি লং-মার্চের মতো কর্মসূচীও পালন করেছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দীন ছাত্রদের বুঝিয়ে ক্লাজ ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি স্থগিত করিয়ে ক্লাসে ফিরিয়ে নেন।
COMMENTS