সারাদেশে আবার লোডশেডিং বেড়েছে। মঙ্গলবার দিনে রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় ৬
থেকে ৭ বার করে লোডশেডিং হয়েছে।
জানা গেছে, গ্যাসের সঙ্কটে চট্টগ্রামের
চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখতে হয়েছে। খুলনা, রাজশাহী, বগুড়া, দিনাজপুর
ও বরিশালেও ব্যাপক লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া গেছে। গত কয়েক দিনে গ্রামের
মতই শহরাঞ্চলেও লোডশেডিং হচ্ছে ব্যাপক। এতে জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়েছে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পানি রবরাহেও সঙ্কট
সৃষ্টি হয়েছে।
সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, প্রায় এক মাস আগে সার
কারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ শুরু করায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ কমাতে
হয়েছে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্রের চারটি কূপের
উৎপাদন ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে গ্যাস
সরবরাহ আরও কমেছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্র জানায়, রমজান
মাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দৈনিক গ্যাস দেওয়া হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি
ঘনফুট করে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ ৮৫ কোটি ঘনফুট।
পিডিবির হিসাবে মঙ্গলবার বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান ছিল
প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ৬ হাজার ৭০০
মেগাওয়াট। আর সর্বোচ্চ উৎপাদনের লক্ষ্য ছিল ৫ হাজার ৭৫০ মেগাওয়াট।
কিন্তু প্রকৃত চাহিদা এখন ৭ হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি। এ ছাড়া উৎপাদিত
বিদ্যুতের প্রায় ১০ শতাংশ ব্যবহূত হয় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতেই। সর্বোপরি
গত কয়েক দিনে গরমের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে।
বর্তমান সরকারের আমলে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৩
হাজার মেগাওয়াট। গ্যাসের উৎপাদনক্ষমতা বেড়েছে প্রায় ৬০ কোটি ঘনফুট।
জানা গেছে ,বর্তমান সরকারের প্রথম বছরে যেমন বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ
বাড়াতে হলে সার কারখানা বন্ধ রাখতে হতো, এখনো তেমন করতে হচ্ছে। একইভাবে
সার কারখানাগুলো চালু রাখায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে
লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি বিদ্যুতের বিভ্রাটও বেড়েছে। অনেক এলাকা থেকে
গ্রাহকেরা তাদের ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন।
COMMENTS