‘সব সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ঢেকে রাখি না। শুধু নামাজের সময় ছবিগুলো ঢেকে রাখি। ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক ছবি থাকলে ওই ঘরে নামাজ হয় না। তাই এ কাজ করি। এখানে কাউকে অসম্মান দেখানোর উদ্দেশ্য আমার নেই।’ বলছিলেন শিল্প পুলিশ-২ গাজীপুরের পরিচালক (পুলিশ সুপার পদমর্যাদা) মো. আবুল খায়ের। সম্প্রতি তাঁর একটি ছবি নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
ফেসবুকে ‘সাওন দন্ত্যস’ (Saon Dontoshya) নামে একটি একাউন্ট থেকে শেয়ার দেয়া এক ছবিতে দেখা গেছে, মো. আবুল খায়ের তাঁর কার্যালয়ে বসা। তাঁর মাথায় ছিল টুপি, গায়ে জোব্বা। পুলিশ কর্মকর্তার মাথার ওপর দেয়ালে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিটি তোয়ালে দিয়ে ঢাকা। এসময় তাঁর ঘরে দুজন লোককেও দেখা গেছে। এ ছবিটি নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন তিনি ‘সরকারের আইনকে তোয়াক্কা করছেন না।’
ফেসবুকে ‘সাওন দন্ত্যস’ (Saon Dontoshya) নামে একটি একাউন্ট থেকে শেয়ার দেয়া এক ছবিতে দেখা গেছে, মো. আবুল খায়ের তাঁর কার্যালয়ে বসা। তাঁর মাথায় ছিল টুপি, গায়ে জোব্বা। পুলিশ কর্মকর্তার মাথার ওপর দেয়ালে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিটি তোয়ালে দিয়ে ঢাকা। এসময় তাঁর ঘরে দুজন লোককেও দেখা গেছে। এ ছবিটি নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন তিনি ‘সরকারের আইনকে তোয়াক্কা করছেন না।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা আবুল খায়ের বলেন, ‘ছবিটি বানোয়াট নয়। তবে আমি সব সময় ছবি দুটি ঢেকে রাখি না। কেবল নামাজের সময়ই ঢেকে রাখি। নামাজ পড়ার পর পরই হয়তো কেউ ঘরে ঢুকে উদ্দেশ্যবশত ছবিটি তুলেছেন। এখন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে প্রচার করে ফিরছেন।’
লম্বা দাড়ি ও টুপি থাকায় অনেকে তাঁকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী আখ্যা দিতে চান উল্লেখ করে শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর পরিচালক বলেন, ‘বিএনপি সরকারের সময় আমি ডেমরা জোনে এসি ছিলাম। তখন আমার কার্যালয়ে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছবি ছিল। নামাজের সময় আমি তাদের ছবিও ঢেকে রাখতাম। এগুলো দেখে অনেকে আমাকে আওয়ামী লীগার বলত। আর এখন বলে বিএনপি-হেফাজত।’
আবুল খায়ের বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তিনি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। তাই কোনো অপপ্রচার নিয়ে তিনি মোটেও চিন্তিত নন।
COMMENTS