গাজীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও ভুমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির নিজ এলাকার ভুমি অফিসে জনবলের অভাবে কাজ কর্ম ঝিমিয়ে পরেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থাণীয় একাধিক সুত্র জানায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা ভুমি অফিসের নির্ধারিত ১৪টি পদের মধ্যে ৭টি পদ শুন্য থাকায় অনেক জরুরী কাজ স্থবির হয়ে পরেছে। শুন্য পদ গুলো হলো কাননগো, সার্ভেয়ার, অফিস সহকারী, এমএলএসএস ও চেইনম্যান।
রাজধানীর অতি নিকটে থাকা এই উপজেলাটিতে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় জনগুরুত্ব পূর্ন হয়ে উঠেছে। গত ১ দশকে উপজেলার জায়গা জমির মূল্য কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে, অপর দিকে বনভুমির আধিক্য রয়েছে এই এলাকায়। এনিয়ে ভুমি মালিকানা জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় ভুমি অফিসের কাজও বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুন। প্রতিদিনই শত শত মানুষ তাদের ভুমি জটিলতা নিরশন কল্পে মিস কেস, নামজাড়ি জমাভাগ ও খাজনা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভীড় জামাচ্ছে ভুমি অফিসে। কিন্তু বিধিবাম অফিসে লোকবল কম থাকায় সময় মতো কাজ পাচ্ছেনা ভুমির মালিক গণ। ভুমি অফিসে আসা ভুক্তভুগিরা দিনের পর দিন অফিসের বারান্দায় ভীড় জমাল্ওে কাজ হাসিল হচ্ছেনা।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে নামজারি জমাভাগ করতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যাক্তি জানান, ভুমিমন্ত্রনালয় সমপর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতির নির্বাচনী এলাকায় যদি এমন অবস্থা হয় তাহলে সারা দেশের কি অবস্থা বুঝতেই পারছেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নাসরিন আলম সাথীর সাথে আলাপ কালে তিনি ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, আমার অফিসে কোন কর্মকর্তা বসে থাকেন না, তবে কাননগো, সার্ভেয়ার সহ গুরুত্বপূর্ণ ৭টি পদ শুন্য থাকায় কাজের গতি কিছুটা মন্থর হয়েছে। আমার টেবিলে কোন ফাইল আসা মাত্রই আমি ছেড়ে দেই। ভুমি অফিস সংশ্লিষ্ট অপর একটি সুত্র জানায়, এমপি সাহেব জনগনের কথা না ভেবে নিজেই সম্প্রতি কাননগো ও সার্ভেয়ারকে বদলী করেছেন অথচ ওই পদে কোন লোক এখনো দেয়া হয়নি ফলে জটিলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য এমপি সাহেবের মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।
COMMENTS