গাজীপুর সদর উপজেলার কোনাবাড়ী এলাকার আবাসিক হোটেল মালিকরা পুলিশ পকেটে রেখে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা দেহ ব্যবসা। এ রকম অবৈধ ব্যবসায় লাভ বেশী বলে কোনাবাড়ীতে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল। রাতের অপেক্ষা করতে হয় না দিন দুপুরেও চলে অশ্লীল দেহ ব্যবসা। কোন হোটেলে রাখা থাকে পতিতা আবার কোন হোটেলে নিয়ে যেতে হয় অশ্লীল কাজের জন্য ওই সব পতিতা। এ সমস্থ হোটেল গুলি গড়ে উঠেছে কোনাবাড়ীর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল ও বাজারের পাশে।
এ ব্যপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলেজ শিক্ষক বলেন, আবাসিক হোটেলের প্রয়োজন আছে তাই বলে দিনে দুপুরে এরকম অশ্লীল কাজ করার আবাসিক হোটেল প্রয়োজন নেই। এ রকম হোটেল থাকলে এক সময় যে কোন ছেলে নষ্ট হয়ে যাবে। এরকম অবৈধ ব্যবসা প্রশাসনের বন্ধ করা উচিত বলে আমি মনে করি। তা না হলে মাদকের মতো এটাও একদিন নেশায় পরিণত হবে। এ অশ্লীল কাজে জড়িয়ে পড়বে কারো স্বামী কারো ছেলে। এর কারণে সংসারে নেমে আসবে অশান্তি।
এ ব্যপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলেজ শিক্ষক বলেন, আবাসিক হোটেলের প্রয়োজন আছে তাই বলে দিনে দুপুরে এরকম অশ্লীল কাজ করার আবাসিক হোটেল প্রয়োজন নেই। এ রকম হোটেল থাকলে এক সময় যে কোন ছেলে নষ্ট হয়ে যাবে। এরকম অবৈধ ব্যবসা প্রশাসনের বন্ধ করা উচিত বলে আমি মনে করি। তা না হলে মাদকের মতো এটাও একদিন নেশায় পরিণত হবে। এ অশ্লীল কাজে জড়িয়ে পড়বে কারো স্বামী কারো ছেলে। এর কারণে সংসারে নেমে আসবে অশান্তি।
ওই এলাকার একাধিক লোকের সাথে কথা বললে তারা বলেন, নিজের চোঁখে কোনবাড়ী এলাকার আবাসিক হোটেলগুলির দৃশ্য দেখছি কিছুই করতে পারি না। এর বিরুদ্ধে পুলিশের দূত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। হোটেলে এ রকম কার্যকলাপ চললে ছেলেদের নষ্ট হতে কতদিন। অল্প কিছু দিনের মধ্যে কোনাবাড়ীতে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল এর মধ্যে রয়েছে ডিম ল্যান্ড, রেডি প্লাস, গোল্ডেন সান, গুলশান ভিউ ইত্যাদি।
নাম প্রকাশ না করার সর্তে ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, কোনাবাড়ী হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ রবিউল ইসলাম এসমস্থ অশ্লীল কাজে জড়িত রয়েছে। যার ফলে সে প্রতি মাসে হোটেল মালিকের নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা করে নেয়।
কোনাবাড়ী ড্রিম ল্যান্ড আবাসিক হোটেল মালিক সেলিম ও ম্যানেজার মহসিন জানান আমাদের হোটেলে কোন জামেলা নেই ১০০ ভাগ নিরাপদ। কারণ পুলিশ আমাদের পকেটে থাকে। ৪০ টি রুম আমাদের পুলিশি কোন সমস্যা হলে আমরা সব বহন করবো।
রেডি প্লাস আবাসিক হোটেল কর্মকর্তা বাবু’র কাছে মোবাইলের মাধ্যমে হোটেল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের হোটেলে শুধু রুম ভাড়া দেওয়া হয়। কোন ব্যবস্থা নেই তবে বাহিরে থেকে মেয়ে নিয়ে আসতে হয়। আমাদের এখানে কোন মেয়ে থাকে না। রুম ভাড়া ৬শত টাকা ১ ঘন্টা বা সারা দিন একই ভাড়া। সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি চা’য়ের দাওয়াত দেন।
গোল্ডেন সান’র কর্মকর্তা ওয়াসিম বলেন, আমাদের হোটেলে সব সময় মেয়ের ব্যবস্থা আছে রেট ৫০০ টাকা। কোন রকম জামেলা হবে না। হোটেলের নিচে এসে ফোন দিয়েন। সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি বলেন এসব বিষয়ে মালিকের সাথে কথা বলবেন আমি কর্মচারি।
এ বিষয়ে কোনাবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রবিউল ইসলাম বলেন কোন হোটেলে এ রকম কাজ চলে জানতে চেয়ে নিজেকে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।
গাজীপুর পুলিশ সুপার আব্দুল বাতেন বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে এ ব্যাপারে আমি দেখবো।
বি:দ্র: (হোটেল মালিকদের পকেটে পুলিশ রাখার বিষয়টি (ঘটনার সত্যতা) মোবাইলে রেকর্ড করা আছে)
- রাজীব সরকার
COMMENTS