গাজীপুরে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ

রাজীব সরকারঃ গাজীপুর মহানগরের ১৩ নং ওয়ার্ডের কড্ডা বাজার এলাকায় তুরাগ নদের তীরে শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ।

ঐতিহ্যবাহী এই নৌকা বাইচ দেখতে ছুটে এসেছেন দূরদূরান্ত থেকে নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধাসহ হাজার হাজার মানুষ। নৌকা বাইচ উপভোগ করতে নৌ পথে ইঞ্জিন চালিত নৌকা যুগেও ছুটে এসেছেন অনেক মানুষ। আনন্দের সাথে তুরাগ তীরে ও নৌকা যোগে ওই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখে মুগ্ধ হয়েছে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসা সকল মানুষ।
 
বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আসা ১০টি বড় নৌকা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। প্রায় দুই কিলোমিটার দূরপাল্লা অতিক্রম করতে হয় এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগীদের।

দূর থেকে আসা প্রতিযোগী নৌকার মধ্যে রয়েছে, মায়ের দোয়া, নিউ বাংলার বাঘ,  পিরোজালী একতা সংঘ, নিউ মায়ের দোয়া, সোনার তরীসহ বিভিন্ন প্রতিযোগী নৌকা।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ ধরে রাখার জন্য ও মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য  গাজীপুর মহানগরে কড্ডা বাজার, মজলিশপুর, ইটাহাটা ও লাঠিভাংগা এলাকাবাসী এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ছিলেন।

একদল কিশোর কিশোরী বলেন,  ঐতিহ্যবাহী এ নৌকা বাইচ  গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এটা আমাদের ধরে রাখা উচিত। নৌকা বাইচ সবাইকে অনেক আনন্দ দেয়। বারবার আমরা এটা দেখতে চাই। বাংলার রূপ বৈচিত্র ও সাংস্কৃতির সাথে মিশে আছে এই ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ। এখন গাজীপুরে তেমন কোথাও নোকা বাইচ হয় না। এটা দিনদিন বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এটা যোগযোগ ধরে রাখা আমাদের দরকার।

ওই এলাকার আফসার উদ্দিনের সভাপতিত্বে গাজীপুর মহানগরের ১৩ নং ওয়াডের কাউন্সিলর খোরশেদ আলম সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অন্যন্যার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কফিল উদ্দিন, আব্দুল সামাদ মিয়া, নূর মোহাম্মদ  প্রমুখ।

নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ান হয়েছে পাবনা থেকে আসা প্রতিযোগী নিউ মায়ের দোয়া, রানার চ্যাম্পিয়ান হয়েছে নিউ বাংলার বাঘ।

চ্যাম্পিয়ান বিজয়ী পুরস্কার হিসেবে রয়েছে একটি ওয়ালটন মোটরসাইকেল, এবং দ্বিতীয় পুরস্কার রঙ্গিন টেলিভিশন। এবং প্রত্যেকের জন্য সান্তনা পুরুস্কার ছিল।

পাবনা থেকে আসা নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ান হয়েছে পাবনা থেকে আসা প্রতিযোগী নিউ মায়ের দোয়া মালিক আব্দুল মতিন জানান, ছোট বেলা থেকে মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য দেশের বিভিন্নস্থানে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে থাকি। অনের প্রতিযোগিতায় আমরা চ্যাম্পিয়ন হই। পুরুস্কার পেয়ে আনন্দিত হয়েছি।

প্রধান অতিথি খোরশেদ আলম সরকার জানান, নৌকাবাইচ বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাথে মিশে আছে এটা ধরে রাখার জন্য এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সকলের সহযোগীতায় চেষ্টা করবো প্রতি বছর যেন আমরা মানুষকে আনন্দ দিতে পারি এবং ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ যুগযুগ ধরে রাখতে পারি।