গাজীপুর জেলার প্রধান বিদ্যাপীঠ শত বছরের পুরনো জয়দেবপুর রাণী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে রাজনীত শুরু হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) তদন্ত শুরু হওয়ায় সরকারি দল ও বিরোধী দল প্রধান শিক্ষককে টিকিয়ে রাখতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। ফলে শুরু হয়েছে উত্তেজনা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাউশি রানী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আযিযীর বিরুদ্ধে তদন্ত করেন। অতিরিক্ত ফি আদায়, টিফিনের টাকা আত্মসাৎ, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উৎকোচ গ্রহণসহ নানা অভিযোগ প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাউশি রানী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আযিযীর বিরুদ্ধে তদন্ত করেন। অতিরিক্ত ফি আদায়, টিফিনের টাকা আত্মসাৎ, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উৎকোচ গ্রহণসহ নানা অভিযোগ প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, ২৪ আগস্ট মাউশির ওই তদন্তের পর বিদ্যালয়টিতে উত্তেজনা দেখা দেয়। ২০০৭ সালের ২০ জুন থেকে কর্মরত ওই প্রধান শিক্ষক নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। যে সরকার আসে আমি সে সরকারকে কুর্ণিশ করি।
ইদ্রিছ আলী আযিযী অভিযোগ করে বলেন, রানী বিলাসমনির সাবেক শিক্ষক আসাদুজ্জামান নূর কৃত্রিম অভিযোগকারী সৃষ্টি করে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করাচ্ছেন। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে আসাদুজ্জামান নূরকে মানিকগঞ্জে বদলি করা হয়। ওই কারণে নূর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
তার অভিযোগ, ষড়যন্ত্রে অর্থায়ন করছেন টঙ্গী মজিদা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আঃ মালেক। পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হওয়ায় আঃ মালেক তাকে সরানোর জন্য ষড়যন্ত্রে অর্থায়ন করছেন বলে আযিযীর অভিযোগ।
এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান নূর বাংলানিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের সামনে আযিযী সাহেব আমাকে সন্ত্রাসী ও বদ্ধ পাগল বলেছেন। আমি আইনি প্রতিকার চাইবো। বর্তমান সরকারের আমলে ৫ বার বদলি করা হলেও আমি কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করিনি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে আঃ মালেক বলেন, আমি কিছুই জানি না। আমাকে জড়ানো অন্যায়। আমি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক বলেন, আল্লাহ তুমি মাফ করো। আমি জামায়াত নই। কাবা শরীফে গিয়ে বলতে পারবো, আমি নির্দোষ, কিছুই জানি না। একটি চক্র আমার ও আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা পোস্টার, লিফলেট ছাপিয়ে প্রতিষ্ঠান ও আমার সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টা করছেন। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্রকারীরা পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টা করছেন।
সম্প্রতি বিরোধী দলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। যে সরকার আসবে, সে সরকারকে কুর্ণিশ করি। জামায়াতের লোক বলে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই সংবাদ ভিত্তিহীন।
সূত্রঃ বাংলানিউজ
COMMENTS