রাজীব সরকারঃ গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি ও সড়কটিতে পানি জমাট বাধায় ভোগান্তিতে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। দীর্ঘ দিন ধরে এ বেহাল অবস্থার পড়ে আছে মহাসড়কটি। যার কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার পরিবহন চালক, যাত্রী, ও ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মহাসড়কটি দ্রুত মেরামত করতে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী ও কালিয়াকৈর মৌচাক এলাকায় মহাসড়কের কার্পেটিং ফুলে গেছে ও কার্পেটিং উঠে গিয়ে বৃষ্টির পানি জমাট বেধে রয়েছে। দুই লেনের সড়কটির এক লেনের কার্পেটিং পুরো উঠেগেছে। আবার বিভিন্ন স্থানে সড়কের কার্পেটিং ফুলে উঠেছে। যার ফলে সৃষ্টি হয় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট। এখানেই শেষ নয় যানবাহন চালাতে হিমশিম খেতে হয় চালকদের। মহাসড়কে গর্তের সৃষ্টি, উঁচু নিচু ও পানি জমাট হওয়ায় যানবাহন চলে ধীরগতিতে। এ অবস্থায় যানবাহন বিকল হয়েও পড়ে সড়কের মাঝ পথে। শুধু তাই নয় দূর্ঘটনাও বাড়ছে সড়কটিতে।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী ও কালিয়াকৈর মৌচাক এলাকায় মহাসড়কের কার্পেটিং ফুলে গেছে ও কার্পেটিং উঠে গিয়ে বৃষ্টির পানি জমাট বেধে রয়েছে। দুই লেনের সড়কটির এক লেনের কার্পেটিং পুরো উঠেগেছে। আবার বিভিন্ন স্থানে সড়কের কার্পেটিং ফুলে উঠেছে। যার ফলে সৃষ্টি হয় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট। এখানেই শেষ নয় যানবাহন চালাতে হিমশিম খেতে হয় চালকদের। মহাসড়কে গর্তের সৃষ্টি, উঁচু নিচু ও পানি জমাট হওয়ায় যানবাহন চলে ধীরগতিতে। এ অবস্থায় যানবাহন বিকল হয়েও পড়ে সড়কের মাঝ পথে। শুধু তাই নয় দূর্ঘটনাও বাড়ছে সড়কটিতে।
এলাকাবাসি, চালক ও যাত্রীরা জানায়, বর্ষা মৌসুমে মহাসড়কটি বেশিরভাগ অংশের কার্পেটিং উঠেগিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে জমে রয়েছে বৃষ্টির পানি। সড়ক ও জনপদ দ্রুত সড়কটি ইটের সলিং করে দায়সারা মেরামত করেন। কিন্তু সেই দায়সারা মেরামত করেও সড়কটির তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। পড়ে আছে ওই অবস্থাতেই যেন সড়কটি মেরামতের কেউ নেই। পানি ও কাঁদা থাকায় পথচারীরাও পায়ে হেটে চলাচল করতে পারছে না মহাসড়কে পাশ দিয়ে। মৌচাক ও কোনাবাড়ী এলাকায় রয়েছে অসংখ্য গামেন্টস কারখানা। এসব কারখারনার লাখ লাখ শ্রমিক ও স্থানীয় এলাবাসি ওই সড়ক দিয়েই যাতায়ত করে থাকে। তাছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রতিদিন চলাচল করে হাজার হাজার যানবাহন।
সড়কের দূরঅবস্থার ফলে দূর্ঘটনা পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী, যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাকসহ প্রায় সকল যানবাহন। সড়কে কার্পেটিং ফুলে উঠায় এবং গর্ত, পানি ও প্রচন্ড কাঁদা থাকায় এসব দূর্ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেন যানবাহন চালকরা। সড়কটি দিয়ে অনেক ঝুকি নিয়েই বাধ্য হয়ে যাতায়াত করছেন ওইসব যানবাহনসহ যাতায়তকারী লোকজন। মানুষের দূর্ভোগ ও দূর্ঘটনা কমাতে সড়কটি মেরামত করা খুবই প্রয়োজন দাবি করেন তারা।
গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী এলাকার সিকদার সেনেটারীর মালিক সোহেল সিকদার বলেন, বড় বিপদেই আছি ভাই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সাথেই আমাদের দোকান সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে সব সময় ওই গর্তে পানি জমে থাকে। এতে গাড়ীতে করে আমাদের দোকানের মালপত্র আনতে সমস্যা হচ্ছে। বিক্রি করার ক্ষেত্রেও ক্রেতারা ওই সব মালপত্র ভ্যান বা মটর চালিত টেম্পু দিয়ে নিতেও নানা সমস্যায় পড়তে হয়। হয়তো ভ্যান ঠেলে নিতে হয়। তাছাড়া অনেক সময় গাড়ী নষ্ট হয়ে যায়। দোকানের সামনে দিয়ে হাটা চলা করতেও মুসকিল হয়ে পড়েছে। গাড়ী চলার সময় কাঁদা পানি ছিটকে শরীলে পড়ছে এতে জামা কাপড়ও নষ্ট হচ্ছে। কতৃপক্ষর দ্রুত সড়কটি মেরামত করলে আমাদের এ দূর্ভোগ কমতো।
ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের বাস চালক রবিউল বলেন, সড়ক খারাপ থাকায় বাস চালাতে খুবই অসুবিধা। মৌচাক এলাকায় রাস্তার কার্পেটিং উপর দিকে উঠে ফুলে গিয়ে উচু হয়ে গেছে যার ফলে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় উচু নিচু হয়ে গেছে। গাড়ী চালানোর সময় অনেক ঝাকি লাগে এসময় যাত্রীরা আমাদের সাথে রাগারাগি করে বলে ঠিকমত গাড়ী চালাতো পারো না গাড়ী নিয়ে রাস্তায় আসছো কেন। রাস্তা খারাপ আমরা কি করবো ?
লেগুনা চালক শফিকুল ইসলাম জানান, আমি চন্দ্রা থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত লেগুনা চালাই। সড়কে গর্ত থাকার জন্য প্রায় প্রতিদিনই গাড়ি নষ্ট হইয়া যায়। এতে আমাদেরও ক্ষতি হয় আবার যাত্রীরাও অযথা কষ্ট করে। এই রাস্তাটা দিয়া প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ চলাচল করে তারপরও সরকার রাস্তাটা ঠিক করে না।
এম ই এইচ আরিফ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জনি বলেন, কোনাবাড়ী থেকে প্রতিদিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশ দিয়ে পায়ে হেটে কলেজে যাই। সড়কের অনেক স্থানে ভাঙ্গা ও বিভিন্ন স্থানে পানি জমে পিচ্ছিল কাদা হওয়ায় চলাচলের বিঘ্নিত হচ্ছে। দু’দিনেই জামা কাপড় নোংড়া হয়ে যায়।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দায়িত্বে থাকা কোনাবাড়ী হাইওয়ে থানার ওসি আলমগীর সিদ্দিকী জানান, প্রতিদিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে শুধু কোনাবাড়ী এলাকাতেই আমাদের ১০ জন পুলিশ সদস্য কাজ করে। সড়কটি দুই লেনের অথচ এ রোডে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। তাছাড়া সড়কের বেশীর ভাগ অংশের কার্পেটিং উঠে নষ্ট হয়ে গেছে। যার ফলে অনেক সময় কোনাবাড়ী, মৌচাক, সফিপুর, চন্দ্রা এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এ যানজট নিরসনে অনেক সময় আমাদের হিমশিম খেতে হয়।
গাজীপুর সড়ক ও জনপদ (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনোয়ার উজ-জামান জানান, টিএমপি’র আওতায় ওই মহাসড়কে কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। দরপত্র মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলেই সড়কটি মেরামত শুরু করা হবে। এর পূর্বমূহুত্ব পর্যন্ত সড়কটি সচল রাখার জন্য মোটামুটিভাবে সচল রাখার চেষ্টা করছি।
COMMENTS