‘অবিকৃত মানুষ গঠন’ নামের একটি ফেসবুক পেজে আপলোড করা ছবিটিতে দেখা গেছে, বিদেশের এটি বারে সজীব ওয়াজেদ জয় হাতে মদের বোতল নিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়ানো একজনের সঙ্গে কথা বলছেন। ছবির উপরে লেখা-‘জাতির ভাইগ্না মাতাল জয়’। অথচ এটি একটি ফটোশপের মাধ্যমে সম্পাদনা করা একটি বানোয়াট ছবি। ছবিটি নেয়া হয়েছে ভিজুয়্যালফটো ডটকম নামের একটি সাইট থেকে। যেখানে ছবির আসল মানুষের চেহারা অবিকৃত রয়েছে।
জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর বিটিআরসি নজরদারি করে। এব্যাপারে তাদের একটি মনিটরিং সেলও রয়েছে। কারো ছবি বা তথ্য বিকৃত করে অপপ্রচার করা হলে সেটি অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ পক্ষ বা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি বিটিআরসিতে অভিযোগ করলে এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।’
তবে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন মনে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিতর্কিত করে তুলতেই বিরোধীপক্ষ এসব অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া দুবার প্রধানমন্ত্রীর ছিলেন। তিনি ক্ষমতায় থাকতে তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ চরম অসন্তুষ্ট। জনগণের মধ্যে তাদের ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। একইভাবে চিন্তা করা হয় তবে দেখা যাবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দেশের দুবারের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যাপারে কোনো ধরনের দুর্নীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণ কেউ দিতে পারেনি। তাই এখন টকশো, ফেসবুকে বিরোধীদলের দোসরা জয়ের বক্তব্যসহ নানা বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাইছে।’
এব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, ‘অপপ্রচারকারীরা বরাবরই প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবার নিয়ে অসত্য প্রচার করছে। এদের এসব অপপ্রচারের জবাব জনগণই দেবে। কারণ, কার ভাবমূর্তি কেমন তা মানুষ ভাল করেই জানে। তাই এগুলোকে গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন নেই।’
যোগাযোগ করার জন্য বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোসের মুঠোফোনে কল করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এর আগেও ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিকে বিকৃত করে কুৎসা রটিয়েছে জামায়াত-শিবির চক্র। প্রধানমন্ত্রীর কোলে শেখ রাসেলের ছোট বেলার ছবিকে জয়ের ছবি বলে দাবি করে অশালীন মন্তব্যও জুড়ে দিয়েছিল তারা। এ ছাড়া হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে পুলিশের অভিযান নিয়েও লাগাতার অপপ্রচার চালিয়েছে। বিভিন্ন দেশের দাঙ্গার ছবি হেফাজতের নিহত কর্মী বলে প্রচার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও সংসদে এসব মিথ্যাচারের কথা তুলে ধরেছেন।
সূত্রঃ ঢাকাটাইমস২৪
COMMENTS