নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার: ‘মিথ্যা বলতে বলতে তাদের চরিত্রটাই হয়ে গেছে মিথ্যাচার। তারা দাবি করেছে আমরা নাকি শাপলা চত্বরে গুলি করে হাজার হাজার আলেম-ওলামা হত্যা করেছি। কিন্তু আমরা যখন তালিকা চাইলাম তখন তারা তালিকা দিতে পারেনি। হাজার নেমে এসেছে ৬১ জনের তালিকায়, তাও মিথ্যা।’
রবিবার বিকেলে আশুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জনসভায় ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি ও হেগফাজত ইসলামীকে উদ্দেশ্যে করে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই আমরা বেতন বৃদ্ধি করি তখনই বাড়িওয়ালারা ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। তাই আপনারা যাতে ভালোভাবে বাঁচতে পারেন সে চিন্তা করেইে এবং পোশাকশিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের আবাসন সংকট নিরসনের জন্য 'গার্মেন্টস শ্রমিক কলোনি' নির্মাণের উদ্দ্যোগ আমরাই প্রথম নিয়েছি। আমরা আপনাদের জীবন মান উন্নয়ন করতে চাই।
রবিবার বিকেলে আশুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জনসভায় ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি ও হেগফাজত ইসলামীকে উদ্দেশ্যে করে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই আমরা বেতন বৃদ্ধি করি তখনই বাড়িওয়ালারা ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। তাই আপনারা যাতে ভালোভাবে বাঁচতে পারেন সে চিন্তা করেইে এবং পোশাকশিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের আবাসন সংকট নিরসনের জন্য 'গার্মেন্টস শ্রমিক কলোনি' নির্মাণের উদ্দ্যোগ আমরাই প্রথম নিয়েছি। আমরা আপনাদের জীবন মান উন্নয়ন করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, দেশে এসেছে তেতুল তত্ত্ব, আর এই তত্ত্বকে সমর্থন দিচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া। তেতুল হুজুর বলেছেন, মেয়েদের ক্লাস ফোরের বেশি পড়াশোনা করা যাবে না। মেয়েদের কাজ করা যাবে না। এই তত্ত্বকে সমর্থন দিচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া।
হেফাজতের আল্লামা আহমেদ শফীর ‘তেতুল তত্ত্বের’ সমালোচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেন,‘ মেয়েরা ঘরে বসে থাকলে সংসার কিভাবে চলবে?’
শেখ হাসিনা বলেন, তেঁতুল হুজুরকে বলতে চাই, প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী ও ইসলামের জন্য প্রথম শহীদ একজন নারী।”
তিনি বলেন, আমরা বায়তুল মোকারকের উন্নয়ন করেছি, নতুন মিনার বানিয়েছি। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় এসে এইসব কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল।
বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজতের তান্ডবে বায়তুল মোকারমের আশপাশ এলাকার বইয়ের দোকান ও ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি কোরাআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে বলেন, “ওই মর্মান্তিক ঘটনার পর আমরা পরিবারভিত্তিক টাকা দিয়েছি। অতীতে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে এতো পরিমাণ টাকা কখনোই দেওয়া হয়নি।”
নারী পোশাক শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে হাসিনা বলেন, “নারীদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রে আমরাই সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের উচ্চশিক্ষার জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছি।”
প্রতিটি এলাকায় নারী শ্রমিকদের জন্য হোস্টেল ও ডরমেটরি নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে এসময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বর্ণনা প্রদান করেন।
শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা যে কারখানায় কাজ করেন তার অনিষ্ট হতে দেবেন না। যারা গার্মেন্টসে অরাজকতা সৃষ্টি করে, তারা হীন উদ্দেশ্য নিয়েই এটি করে থাকে। এই ধরণের অরাজকতা যেন না হয় সেটি আপনারা খেয়াল রাখবেন।”
আওয়ামী লীগ কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের জন্য কাজ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের আমলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিত ভাল ছিল। আপনারা দেখেছেন, রোজার মাসে আমাদের মা-বোনেরা দীর্ঘরাত পর্যন্ত কেনাকাটা করেছেন। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শিল্পাঞ্চলে আমরা শিল্প পুলিশ মোতায়েন করেছি আপনাদের নিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য”
‘নৌকা মার্কায়’ ভোট দিলে জনগণ সবসময়ই কিছু পায় বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ কখনো আপনাদের বঞ্চিত করেনি।”
এর আগে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় চারাবাগের খেজুরবাগানে পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের আবাসনের জন্য ১২ তলার একটি ডরমিটরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ কোটি ৬১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও তা শেষ হবে ২০১৭ সাল নাগাদ। এটি নির্মিত হলে গার্মেন্টের শুধু নারী শ্রমিকরাই এ ভবনে বরাদ্দ পাবে।
COMMENTS