বিরোধী দল গণতন্ত্রের ভাষা বোঝে না দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিরোধী দল আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করছে এবং মানুষ হত্যা করছে।’
শনিবার বিকেলে রাজধানীর আজিমপুর গার্লস হাইস্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর আগে আপনারা আন্দোলন করেছেন এবং আল্টিমেটাম দিয়েছেন। কিন্তু এতে কোনো কাজ হয়নি। ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানালেও তারা সাড়া দেয়নি।’
সমাবেশস্থলে পৌঁছেই প্রধানমন্ত্রী লালবাগ থানার এলাকার আজিমপুর বিদ্যুৎ সাবস্টেশন ও কোতয়ালি থানা এলাকার মিটফোর্ড বিদ্যুৎ সাবস্টেশন উদ্বোধন এবং লালবাগের শহীদ নগরে একটি মাতৃসদন, ইসলামবাগে একটি কমিউনিটি সেন্টারের এবং প্রসন্ন পোদ্দার লেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তি স্থাপন করেন।
হেফাজতের সমাবেশ নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘মতিঝিলে নাকি হেফাজতের সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ মারা হয়েছিল। আমরা তালিকা চাইলে তা দিতে পারেনি। প্রথমে আড়াই হাজার নিহতের কথা বললেও পরে ৬১ জনে নেমে এসেছে। এই তালিকাও ভুয়া।’
হেফাজতের সমাবেশ নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘মতিঝিলে নাকি হেফাজতের সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ মারা হয়েছিল। আমরা তালিকা চাইলে তা দিতে পারেনি। প্রথমে আড়াই হাজার নিহতের কথা বললেও পরে ৬১ জনে নেমে এসেছে। এই তালিকাও ভুয়া।’
বিরোধী দলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতা ১৯৯৬ সালে অপপ্রচার চালিয়েছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে নাকি মসজিদে আজান হবে না। এখন তো সব মসজিদে আজান হচ্ছে, নামাজ হচ্ছে।’
তিনি দাবি করে বলেন, ‘মতিঝিলে হেফাজতে সমাবেশের দিন বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা হাজার হাজার কোরআন শরীফে আগুন দিয়েছে, মসজিদে আগুন দিয়েছে। কোরআন পুড়িয়ে তারা ইসলাম রক্ষা করতে চায়।’
নৌকায় ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌকা হচ্ছে উন্নয়নের প্রতীক। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে দেশের মানুষ কিছু পায়, দেশের উন্নয়ন হয়। নৌকায় ভোট দিলে কেউ বঞ্চিত হয় না। সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতায় তার শিক্ষাজীবনের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি আজিমপুর গার্লস স্কুলকে সরকারি করার ঘোষণা দেন। এই স্কুলকে নিজের স্কুল হিসেবেও তিনি অভিহিত করেন।
নির্বাচিত হলে শতভাগ সাক্ষরতার হার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা এমন বাংলাদেশ দেখতে চাই যেখানে কেউ অশিক্ষিত থাকবে না। প্রত্যেকে সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত হবে।’
স্কুল জীবনে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘স্কুলের ওই দোলনায় অনেক দোল খেয়েছি। এই মাঠে হাডুডু খেলেছি। স্কুলজীবন সবচেয়ে সুন্দর জীবন। মনে পড়ে একবার যেমন খুশি তেমন সাজোতে আমি প্রথম হয়েছিলাম।’
COMMENTS