শ্রীপুর উপজেলার নতুনবাজার এলাকায় এসরোটেক্স নীটওয়্যার কারখানার শ্রমিকেরা দুপুরের পর বিক্ষোভ ও কারখানার তিনটি তলায় ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে। গত দু’দিন আগে কারখানা কর্তৃপক্ষের ভাড়াটিয়া লোকজন শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর প্রতিবাদে ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেল তিনটার দিকে তারা ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়। এসময় তারা কারখানার প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক সুমিত বড়–য়ার অপসারণ দাবী করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরের খাবার বিরতির পর দুপুর আড়াইটার দিকে কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করতে থাকে। মালিকের ভাড়াটিয়া লোকদের হামলার প্রতিবাদে তারা বিভিন্ন ধরণের শ্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে বিকেল তিনটার দিকে কারখানার চার, ৬ ও নীচ তলায় মেশিনপত্র, আসবাব ও প্রশাসন বিভাগের কম্পিউটারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করে। ভাংচুরশেষে বিকেল তিনটার দিকে কারখানা থেকে কারখানা থেকে বের হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সাড়ে তিনটা পর্যন্ত অবরোধ করে রাখে।
শ্রমিকেরা জানায়, সারাদেশে ন্যূনতম মজুরীর দাবীতে বিক্ষোভ চলে আসছিল। একই সময়ে এসরোটেক্স কারখানার মালিক শ্রমিক বিক্ষোভের ভয়ে গত বৃহস্পতিবার ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। কারখানার প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক সুমিত বড়ুয়া এতে নেতৃত্ব দিয়েছে। রোববার সড়ক অবরোধের সময় পুলিশ দেড় হাজার শ্রমিকের ওপর গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে কমপক্ষে ত্রিশ জন শ্রমিককে আহত করেছে। তাদেরকে বিভিন্ন ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিতসা দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন জানান, শ্রমিকেরা পাঁচ মিনিটের বেশি সড়ক অবরোধ করে রাখতে পারেনি। তাদেরকে সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে ৯ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ২০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
কারখানার পরিচালক মির্জা আনিসুর রহমান জানান, ভাড়াটিয়া দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামালা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপকের অপসারণ দাবী অযৌক্তিক। কারখানা রোববারের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এরকম অচলাবস্থা চলতে থাকলে লে-অফ ঘোষণা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
COMMENTS