অপহরণের প্রায় তিন মাস পর অপহরণকারীরা হাত থেকে কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশ। ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় ঢাকার কদমতলী থানার পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। অপহৃতা স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। অপহরণের ঘটনায় অপহৃতার বড় ভাই মোঃ করিম বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় সাত জনকে অভিযুক্ত করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে।
থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জুলাই উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের দক্ষিন বারতোপা (কবর ঘাটা) এলাকার নিজ বাড়ীর পাশে বিকেল সাড়ে ৫ টায় অপহৃতা বাহির হয়। এসময় পূর্বে থেকে উৎ পেতে থাকা একই এলাকার হযরত আলীর পুত্র নাজমুল ও তার ৮/১০ জন সহযোগী অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ও মুখ বেধে অপহৃতাকে জোরপূর্বক মাইক্রোতে উঠায়। এসময় তার চিৎকারে অপহৃতার মা এগিয়ে আসলে অপহরণকারীরা মাইক্রোযোগে চলে যায়। পরবর্তীতে অপহৃতার মা নাজমুলের বাবা-মাকে উদ্ধারের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জোবাইদুল হক কৌশলে অপহৃতার অবস্থান জেনে যায়। পরে ঢাকার কদমতলী থান পুলিশের সহায়তায় আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় অপহৃতা ও অপহরণকারী নাজমুল ও তার দুই সহযোগী ইন্দ্রবপুর গ্রামের জনাব আলীর পুত্র আলম এবং ইমাম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে শ্রীপুর থানায় নিয়ে আসে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, অপহরনের সাথে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
COMMENTS