টঙ্গীতে হোটেল ব্যবসায়ী খুনের ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের গড়িমসিতে নিহতের পরিবারসহ জনমনে উদ্বেগ উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। টঙ্গীতে গত কয়দিনে আরো বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে উপর্যপুরি খুন ও লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন এলাকার তৃপ্তি হোটেলের মালিক সাইফুল ইসলামকে দুর্বৃত্তরা নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ লাগেজে ভরে স্থানীয় মুদাফা এলাকায় ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মহিন মাহমুদ বাদী হয়ে থানায় এজহার দায়ের করলেও নাটকীয়তা ভাবে সেই মামলার বাদী করা হয় স্ত্রী নূরজাহান আক্তার টুম্পাকে। প্রথমে মামলার তদন্তভার টঙ্গী থানার এসআই রাজিউর রহমানকে দেয়া হলেও তিনি মামলাটি তদন্ত করতে অপরাগতা প্রকাশ করায় বর্তমানে তদন্তের দায়িত্ব পড়ে ওসি তদন্তের হাতে দায়িত্ব পড়লেও তিনি এখন পর্যন্ত হত্যার কোন ক্লু-বের করতে পারেননি। এই নিয়ে নিহতের স্বজন ও প্রতিবেশীর মনে নানা ধরনের সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃত খুনিকে সনাক্ত করার তেমন কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
এদিকে লাশের সাথে জব্ধকৃত লাগেজ, স্ত্রীর স্বভাব চরিত্র, মামলার বাদী পরিবর্তন, তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন, রহস্যজনক কিছু ফোনোলাপসহ আনুসাঙ্গিক বিষয়ের ওপর জোর দিলে সহজেই এ হত্যাকান্ডের রহস্য বের হয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানান, সাইফুলের খুনের ঘটনায় তার স্ত্রী ও শশুরবাড়ীর লোকজনের স্বাভাবিক চলাফেরা দেখে মনে হয়েছে তাদের মধ্যে এ মৃত্যুর ঘটনা কোন কষ্টের বিষয় ছিল না।
অপরদিকে হোটেলের বেশ কয়েকজন কর্মচারীও প্রতিবেশীর তথ্য মতে জানা যায়, সাইফুলের স্ত্রী আগে যেমন ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনোলাপ ও সেজে গুজে চলাফেরা করতেন। স্বামী মৃত্যুর পরও তাকে সেই রকম দেখতে পেয়েছেন তারা। স্বামীর মৃত্যুর শোকের কোন ছায়া তার মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও শশুরের সাথে সাইফুলের মোটা অংঙ্কের আর্থিক লেনদেন ছিল বলে জানান তারা।
সরেজমিন গিয়ে পাশ্ববর্তী ফ্লেক্সিলোড দোকানে খোঁজ নিলে দোকানী জানান, টুম্পা ভাবী একদিন পরপর তার দোকান থেকে ২০০-৩০০ টাকা মোবাইলে রিচার্জ করতেন। নিহতের ভাইদের দেওয়া তথ্য মতে জানা যায়, ইতিপুর্বে কখনোই সাইফুলেরর সাথে ভাইদের মধ্যে কারো কোন বিরোধ ছিল না।
এ ব্যাপারে ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ মামলার রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকান্ডে জড়িতদের সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
COMMENTS