শিল্প শহর টঙ্গীর আনাচে-কানাচে হাত বাড়ালেই মাদকদ্রব্য পাওয়া যাচ্ছে। ক্রমশ এর ব্যাপ্তি বেড়েই চলছে। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং বেকার যুবসমাজ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এক শ্রেণির অসাধু মাদক ব্যবসায়ী প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
টঙ্গীর মেথরপট্টি, হাজী মাজার বস্তি, ব্যাংকের মাঠ বস্তি, আমতলী কেরানীটেক বস্তি, মরকুরটেক পাড়া, মোল্লার গ্যারেজ, শিলমুন, জাম্বুরারটেক, মিরাশপাড়া, আমতলী, পাগাড় এবং রেলওয়ে স্টেশনের পাশে প্রতিনিয়ত ফেনসিডিল, হেরোইন, মদ, গাঁজা, ইয়াবা এবং প্যাথেডিনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য একপ্রকার প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও জিআরপি পুলিশের সহযোগিতায় মাদক ব্যবসায়ীরা টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনকে মাদকের নিরাপদ আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।
প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে ট্রেনে করে মাদকের বড় বড় চালান টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনে এসে পেঁৗছে। সিন্ডিকেট সদস্যদের মাধ্যমে ট্রেন থেকে মাদকের চালান নামার সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের বস্তিসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ছড়িয়ে পড়ে। রিকশাচালক থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা নিষিদ্ধ মাদকের নেশায় হাবুডুবু খাচ্ছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ফেনসিডিল, হেরোইন, মদ, গাঁজা এবং প্যাথেডিন ইনজেকশনসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ঢুকছে।
মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত শতাধিক ব্যক্তিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা নিয়ন্ত্রণ করছেন। টঙ্গীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে আল-আমিন, শাহিদা, তাজুল ইসলাম (ইনটেক), রাজিয়া, ফেন্সি রফিক, বাদশা, সুমন, সালাম ওরফে সামু এবং কামরুল হাসান টিটু মাদকের ডিলার বলে পরিচিত। মাঝেমধ্যে টঙ্গী থানা পুলিশ এবং জিআরপি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছোট ছোট দু-একটি চালান জব্দ করলেও মোটাঅঙ্কের লেনদেনে মূল হোতারা ধরাছোঁয়ারা বাইরে থেকে যায়। অনেক মাদক ব্যবসায়ী আটক হলেও আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে বেরিয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে।
COMMENTS