টঙ্গী থেকে দেওয়ান রফিকুল ইসলাম মাখনঃ টঙ্গীতে শিল্পোন্নয়নের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাদক ব্যবসা। শিল্পনগরীর টঙ্গী বাজার মেথর পট্টি, হাজী সাহেব মাজার বস্তি, ব্যাংক মাঠ, আমতলী, রেললাইনের পাশে প্রতিনিয়ত বিক্রি হচ্ছে ফেনসিডিল, হেরোইন, মদ, গাঁজা, ইয়াবা প্যাথেডিনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য। এসব এলাকায় বহুদিন ধরে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চলছে। টঙ্গী মাজার বস্তিসহ তিনটি বস্তিতে রিকশা চালক থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর লোক এখানে এসে মাদক সেবন করে নিয়মিত।
টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে এক শ্রেণীর বেকার যুবক ও যুবতীরা। তারা ইয়াবা সেবন ও ব্যবসা করে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছে এ ব্যবসা। প্রভাবশালীদের মদদে ঢুকছে ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য। এভাবে-পাড়া মহল্লার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য। টঙ্গী শিল্প শহরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। টঙ্গী মাজার বস্তিতে মাদকের হাট দিন দিন বেড়েই চলছে। এলাকার লোকজন হতাশাগ্রস্ত
টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে এক শ্রেণীর বেকার যুবক ও যুবতীরা। তারা ইয়াবা সেবন ও ব্যবসা করে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছে এ ব্যবসা। প্রভাবশালীদের মদদে ঢুকছে ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য। এভাবে-পাড়া মহল্লার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য। টঙ্গী শিল্প শহরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। টঙ্গী মাজার বস্তিতে মাদকের হাট দিন দিন বেড়েই চলছে। এলাকার লোকজন হতাশাগ্রস্ত
হয়ে পড়েছে। বেকার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা নিষিদ্ধ নীল নেশায় জড়িয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। মাদকের ছোবল যেভাবে বিস্তৃত হচ্ছে, তা অভিভাবক ও সচেতন মহলকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। এমনকি সমাজের গরিব-ধনী নিম্ন আয়ের পেশাজীবীরাও দিন দিন মাদকে আশক্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন দেশে বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে অবৈধভাবে ঢুকছে ফেনসিডিল, হেরোইন, মদ, গাঁজা, প্যাথেডিন ইনজেকশনসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য।
মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত শতাধিক ব্যক্তি এদের মধ্যে বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ তৃনমূল পর্যায়ের ব্যক্তিরা জড়িত রয়েছে। মাদকদ্রব্য বিক্রেতারা আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছে। মাদক বিক্রেতাদের কাছ থেকে রাজনৈতিক নেতারা ও টঙ্গী থানা পুলিশ এদের কাছ থেকে মাসোহারা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। থানা পুলিশ মাসোহারার টাকা নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও কোন প্রশাসন কোন কর্ণপাত করছে না। মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ীরা পুলিশের নাকের ডগায় মদ, গাঁজা হেরোইন, ইয়াবা, প্যাথেডিন বিক্রি করে থাকে। গাজীপুর সিটি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় মাদক ব্যবসা পর্যায়ক্রমে বেড়েই চলছে। অনেক প্রভাবশালী ও ধনাঢ্য ব্যক্তি এ ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেফতার হলেও মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে থানা থেকে বেরিয়ে আসে। আবার অনেক মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও আইনকে ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে আসে। আবার এসে তারা এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এতে করে আইনের তেমন কঠোর প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন এ ব্যবসা মহামারী আকার ধারণ করছে।
COMMENTS