শ্রীপুরের পলমল গ্রুপের আসওয়াদ কম্পোজিট মিলের পোশাক কারখানার অগ্নিকাণ্ডকে নিছক দুর্ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন তৈরি পোশাক ও মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম।
বুধবার রাত পৌনে ৮টায় বিজিএমএই ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আতিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়। আগুন ছড়িয়ে পড়লেও অভ্যন্তরীণ সরঞ্জাম দিয়ে কর্তৃপক্ষ আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
বুধবার রাত পৌনে ৮টায় বিজিএমএই ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আতিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়। আগুন ছড়িয়ে পড়লেও অভ্যন্তরীণ সরঞ্জাম দিয়ে কর্তৃপক্ষ আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
এটাকে নিছক দুর্ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত আগুন নেভানোর জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালায়। কিন্তু আগুনের ধোঁয়ার কারণে একজন এজিএমসহ (অ্যাসিট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার) মোট সাতজন মারা যান।
তিনি দাবি করেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করেছে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, যে কয়জন মারা গেছেন তাদের চিহ্নিত করে প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ হাজার করে টাকা দিয়ে তাদের লাশ গ্রামে পাঠানো হয়েছে। আহতদের কারখানা কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা খরচ দেবে।
এছাড়া আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে পলমল গ্রুপকে তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন আতিকুল ইসলাম।
এক প্রশ্নের জবাবে পলমল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির শিকদার বলেন, কি কারণে আগুন লেগেছে ফায়ার ব্রিগেড তদন্ত করেছে। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি চিমনি থেকে আগুন লাগতে পারে।
আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়াকে তিনি ‘আশ্চর্যজনক’ ঘটনা বলে উল্লেখ করেন।
নাসির শিকদার বলেন, নিহতদের পরিবারকে কারখানা মালিকের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ করে টাকা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি চার লাখ ৫০ হাজার টাকা নিহতদের পরিবার চিহ্নিত করে দেওয়া হবে।
এছাড়া বীমা বাবদ প্রত্যেকের পরিবার ২ লাখ করে টাকা পাবে বলেও তিনি জানান।
এ সময় বিজিএমইএ’র সাবেক দুই সভাপতি শফিউল ইসলাম ও আনোয়ারুল আলম পারভেজও উপস্থিত ছিলেন।
COMMENTS