আগামীকাল রবিবার ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার (ডিএমপি) বেনজীর আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার (ডিএমপি) বেনজীর আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, ‘রবিবার ভোর ৬টা থেকে ঢাকা মহানগরের মধ্যে সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, মিটিং, মানববন্ধন, লাঠি মিছিল ও অবস্থান নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে।’
আইনশৃঙ্খলা অবণতির আশঙ্কা থেকে জনগণের জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল থেকে পরস্পরবিরোধী কয়েকটি দলের ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সভা-সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে। সমাবেশগুলোকে সামনে রেখে বিভিন্ন গোষ্ঠী ক্রমাগত প্রকাশ্যে মারাত্মক উস্কানিমূলক ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে- এমন বক্তব্য প্রদান করে আসছেন। ফলে জনমনে অনিশ্চয়তা, ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টির প্রকৃত আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এসব মিছিল, সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হলে অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম ও সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, যাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা বিরাজমান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, যেহেতু ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, তাই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-ওওও/৭৬) এর ২৮ ও ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ২০ অক্টোবর রবিবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সকল প্রকার মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ, গণঅবস্থান, সভা-সমাবেশ, মিছিল, সকল প্রকার ছড়ি বা লাঠি, বিস্ফোরক দ্রব্য ও আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও রাস্তায় দাঁড়িয়ে/বসে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল করা যাবে না মর্মে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আগামী ২৫ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় জনসভা আহ্বান করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল। একই দিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আযহার আগে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা ওই জনসভায় দলীয় নেতাকর্মীদের দা, কুড়াল নিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং যেখানে হামলার ঘটনা ঘটবে সেখানে পাল্টা হামলা করার নির্দেশ দেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও বিরোধী জোটের এই কর্মসূচি প্রতিহতের ডাক দেয়। তারা রাজপথে অবস্থান নিয়ে বিরোধী জোটের নৈরাজ্য প্রতিহত করবে বলে ঘোষণা করে।
দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক জোটের এই কর্মসূচি ঘিরে সারা দেশেই ঈদে ঘরমুখো মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। অবশেষে শনিবার ডিএমপি থেকে ওই কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা এলো।
COMMENTS