বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করার জন্য আচরণবিধি সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ। তিনি বলেন, আমাদের একটি আচরণবিধি রয়েছে। বিগত নির্বাচনগুলো নির্দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে, আচরণবিধিও সে অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছিল। তাই বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করার জন্য আচরণ বিধির কিছু সংশোধন করা দরকার।
রোববার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আবু হাফিজ আরো বলেন, সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন আমাদের জন্য নতুন। যারা ক্ষমতায় থাকবে এবং যারা বাইরে থাকবে সবার সমান সুযোগ দিতে আমরা আইন করব। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশে যেভাবে প্রটোকল নির্ধারণ করা হয় সেভাবে আমরা করব।
তিনি বলেন, আচরণবিধি সংশোধনে আমরা অস্ট্র্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত ও যুক্তরাজ্যের আচরণবিধি যাচাই করে দেখছি। সকলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য আমরা একটি আচরণবিধি তৈরির কাজ করছি। আমাদের পরবর্তী কাজ আচরণবিধি তৈরি করা।
আবু হাফিজ বলেন, সংসদ সদস্য পদ লাভজনক নয়, সংসদ সদস্যরা স্বপদে বহাল থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। তিনি বলেন, একটি রিটের জবাবে আদালত এই ধরনের রায় দিয়েছে যে, ‘সংসদ সদস্য পদ লাভ জনক নয়।’ ব্যারিস্টার রফিক উল হকের একটি রিটের প্রেক্ষিতে এ রায় দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির অনেক কাজ আমরা করে ফেলেছি, আইন কানুন সংশোধন করা হয়েছে। আরপিও সংশোধন হওয়ার পথে। শুধুমাত্র আচরণবিধি সংশোধন হয়নি। এতে কিছু সংযোজন বিয়োজনের কাজ করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। কিন্তু আইন দিয়ে গণতন্ত্রের উন্নয়ন হয় না। এটা সুদীর্ঘ ঐতিহ্য বা ব্যবহারিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে।
রাজনীতিবিদদের আচরণ নিয়ে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সাংস্কৃতিক ও আচরণগত মিল রয়েছে। আমরা একসঙ্গে ছিলাম এবং একইসঙ্গে স্বাধীন হয়েছি। তারা তাদের অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে, আমরা পারিনি। এখন গণতন্ত্রে আমাদের একটা অবস্থান তৈরি করা উচিত।
আচরণবিধি সংশোধনের সময় জানতে চাইলে আবু হাফিজ বলেন, তফসিলের আগে আচরণবিধি সংশোধন করা হবে। যথাসময়ে আচরণবিধি সংশোধনের কাজ শেষ হবে।
বিএনপি নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দেওয়ার জবাবে তিনি বলেন, যারা জনগণের জন্য রাজনীতি করে তাদের উচিত জনগণের জন্য নির্বাচনে অংশ নেওয়া। আমরা আশা করি সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিবে।
COMMENTS