জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামী ১৬ অক্টোবর ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশনে জাতীয় চাঁদ কমিটির সভা থেকে এ তথ্য জানানো হয়। রোববার সন্ধ্যায় কমিটি এ ঘোষণা দেয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেন, চাঁদ দেখা গেছে। ১৬ অক্টোবর ঈদ হবেই। এ নিয়ে আর কোনো দ্বিধা নেই।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হজে থাকায় তিনি এ সভায় উপস্থিত ছিলেন না। তবে ধর্ম সচিব কাজী হাবিবুল আওয়ালসহ কমিটির সব সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হজে থাকায় তিনি এ সভায় উপস্থিত ছিলেন না। তবে ধর্ম সচিব কাজী হাবিবুল আওয়ালসহ কমিটির সব সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, হযরত ইব্রাহিম (আ.) এক রাতে স্বপ্ন দেখলেন আল্লাহ তাকে বলছেন, তোমার সবচেয়ে প্রিয় কিছু ত্যাগ করো অর্থাৎ কোরবানি দাও। তিনি অনেক কিছুই পর্যায়ক্রমে কোরবানি দিলেন। যেমন- প্রিয় উট, ভেড়া ইত্যাদি। কিন্তু আল্লাহ এতে সন্তুষ্ট হলেন না। হযরত ইব্রাহিম (আ.) আবারও স্বপ্ন দেখলেন আল্লাহ বলছেন, ‘তোমার কোরবানি কবুল হয়নি। তুমি এগুলোর চেয়েও প্রিয় কোনো কিছুকে কোরবানি দাও।’ এই স্বপ্ন দেখার পর হযরত ইব্রাহিম (আ.) বিচলিত হয়ে পড়লেন এবং কাঁদতে লাগলেন।
এমন সময় তার ছেলে হযরত ইসমাইল (আ.) তাকে এসে বললেন, বাবা আমার মনে হয় আল্লাহ আমাকে কোরবানি দেয়ার কথা বলছেন। কারণ এই পৃথিবীতে আমিই আপনার সবচেয়ে প্রিয়। তখন ইব্রাহিম (আ.) কান্নায় ভেঙে পড়লেন। তারপর আল্লাহর খুশির জন্য ইসমাইল (আ.) বাবাকে বুঝিয়ে রাজি করালেন তাকে কোরবানি দিতে।
হযরত ইব্রাহিম (আ.) চোখ বেঁধে হযরত ইসমাইল (আ.) কে কোরবানি দিলেন। চোখ খুলে দেখেন তাঁর ছেলে পাশে দাঁড়িয়ে হাসছেন, সামনে একটি দুম্বা পড়ে আছে। এরপর থেকেই মুসলমানরা তাদের সাধ্যমত ধর্মীয় নিয়মানুযায়ী উট, গরু, দুম্বা কিংবা ছাগল কোরবানি বা জবাই দেয়।
ঈদুল আযহা মূলত আরবী বাক্যাংশ। এর অর্থ হলো ত্যাগের উৎসব। মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ত্যাগ করা। হিজরী বর্ষপঞ্জী হিসাবে জিলহজ্জ্ব মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ তারিখ পর্যন্ত ৩ দিন ধরে ঈদুল আযহা চলে। হিজরী চান্দ্র বছরের গণনা অনুযায়ী ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার মাঝে ২ মাস ১০ দিন ব্যবধান থাকে। দিনের হিসাবে যা সবোর্চ্চ ৭০ দিন হতে পারে।
যার ওপর যাকাত প্রদান করা ওয়াজিব, তার ওপর ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশু কুরবানি করাও ওয়াজিব। বাংলাদেশে সাধারণত গরু বা খাসী কোরবানি করা হয়। এক ব্যক্তি একটি গরু বা খাসি কোরবানি করতে পারেন। তবে গরুর ক্ষেত্রে ভাগে কোরবানি করা যায়। ৩, ৫ বা ৭ ব্যক্তি একটি গরু কোরবানিতে শরীক হতে পারেন। কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করে এক ভাগ গরীব-মিসকিনদের মধ্যে ও এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিতরণ করে তৃতীয় ভাগ নিজেদের খাওয়ার জন্য রাখা যায়। কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির অর্থ সাদকা করে দিতে হয়।
COMMENTS