কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের সঞ্চালন কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
একই সময় দুদেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথ উদ্যোগে নির্মিত রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন।
শনিবার সকালে ভেড়ামারায় উপস্থিত থেকে প্রকল্প দুটি উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
একই সময় দুদেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথ উদ্যোগে নির্মিত রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন।
শনিবার সকালে ভেড়ামারায় উপস্থিত থেকে প্রকল্প দুটি উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় দুদেশের প্রধানমন্ত্রী পারস্পরিক সম্পর্ক আরো জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেন।
ভেড়ামারার এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদ্যুতমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী প্রমুখ।
উদ্বোধনের পর থেকেই ভারত থেকে ১৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে। এই প্রকল্পের পাশাপাশি রামপালে যৌথ উদ্যোগে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন শেখ হাসিনা ও মনমোহন সিং।
পরিবেশবাদীদের বিরোধিতার মুখে এই প্রকল্পের ভিত্তিস্থাপন করে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রাখার পরামর্শ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
এই আমদানি প্রক্রিয়ার সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী আলমগীর হোসেন গত ২৭ সেপ্টেম্বর জানিয়েছিলেন, আমদানির পরিমাণ ধাপে ধাপে বাড়িয়ে অক্টোবরের শেষ দিকে আড়াইশ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
নভেম্বর নাগাদ ভারতের বেসরকারি খাত থেকে আরো ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসার কথা রয়েছে। এই বিদ্যুৎ আসবে ভারতের পাওয়ার ট্রেডিং কোম্পানির কাছ থেকে।
ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৬ টাকার কাছাকাছি পড়বে বলে জানিয়েছেন পিডিবির সদস্য তমাল চক্রবর্তী।
দুদেশের গ্রিড লাইনকে সমন্বিত করতে গত ৩০ আগস্ট থেকে প্রায় ৯৮ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন বসানো হয়েছে দুই দেশের ভূ-খণ্ডে। গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য দুই দেশের দুটি সুইচিং স্টেশন বসানো হয়েছে ভারতের বহরমপুর ও বাংলাদেশের ভেড়ামারায়।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় ভারত বাংলাদেশের কাছে এই বিদ্যুৎ বিক্রি করছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা আশা করছেন, চুক্তি অনুযায়ী পুরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেলে বাংলাদেশের লোডশেডিং অনেকটা কমে আসবে।
COMMENTS