দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার (গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার বেলা ৩টা ৪৮ মিনিটে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্লাইওভারের কুতুবখালী প্রান্তে ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার বেলা ৩টা ৪৮ মিনিটে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্লাইওভারের কুতুবখালী প্রান্তে ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার নামের ৪ লেন বিশিষ্ট এই উড়াল সড়কে ৬টি প্রবেশপথ ও ৭টি বের হওয়ার পথসহ মোট ১৩টি ওঠানামার পথ রয়েছে।
ফ্লাইওভারটি চালু হলে গুলিস্তান থেকে কুতুবখালী ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম, সিলেটসহ পূর্বাঞ্চলীয় এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ৩০টি জেলায় যাতায়াতে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। বিশেষ করে রাজধানীর কুতুবখালী-যাত্রাবাড়ী অংশে যানজট কমে যাবে।
ওরিয়ন ইনফ্রাস্টাকচার লিমিটেড এই ফ্লাইওভারের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে ২১০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মিত হচ্ছে। ২০১০ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার নির্মাণে জন্য বিশ্বব্যাংক ১৯৯৮ সালে ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। পরে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপের সঙ্গে ‘যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান’ ফ্লাইওভার নির্মাণের চুক্তি হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
২০০৩ সালে চুক্তির সময় টোলের হার নির্ধারণ করা হয়েছিল হালকা যান ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, থ্রি হুইলার পাঁচ টাকা এবং ভারী যানবাহনের জন্য ১০০ টাকা। তবে এখন টোলের হার পুনর্নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গেছে।
এই ফ্লাইওভারের ধারণক্ষমতা ২০ মেট্রিক টন এবং স্থায়ীত্বকাল ১০০ বছর। মহাজোট সরকার ২০১০ সালের ২২ জুন ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ফ্লাইওভারের আগের নাম পরিবর্তন করে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার নামকরণ করে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্মাণাধীন এই ফ্লাইওভারের মাত্র ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। গুলিস্তান থেকে সরাসরি যাত্রাবাড়ী অংশের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ উদ্বোধনের পর সম্পন্ন করা হবে।
ফ্লাইওভারের গুলিস্তান থেকে ডেমরা অংশ, যাত্রাবাড়ী থেকে সায়েদাবাদ বিশ্বরোডের অংশ ও যাত্রাবাড়ী থেকে গুলিস্তান পার হয়ে আলুবাজার লেনের অংশে কাজ এখনো শুরু হয়নি।
COMMENTS