বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গাজীপুরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে থেমে থেমে পটকার শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বেলা দেড়টা পর্যন্ত গাজীপুরের রাজবাড়ি গেট, জোরপুকুর এলাকা, ছায়াবীথী, শিববাড়ি, চান্দনা চৌরাস্তা, সালনা বাজার, বড়বাড়ি, টঙ্গী, কোনাবাড়ি, কাশিমপুরসহ জেলার বেশ কিছু জায়গায় থেমে থেমে পটকার শব্দ শোনা গেছে বলে খবর পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বেলা দেড়টা পর্যন্ত গাজীপুরের রাজবাড়ি গেট, জোরপুকুর এলাকা, ছায়াবীথী, শিববাড়ি, চান্দনা চৌরাস্তা, সালনা বাজার, বড়বাড়ি, টঙ্গী, কোনাবাড়ি, কাশিমপুরসহ জেলার বেশ কিছু জায়গায় থেমে থেমে পটকার শব্দ শোনা গেছে বলে খবর পাওয়া যায়।
এসব এলাকায় ককটেল বা বোমাতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ায় দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে।
জনমনে ভীতি সঞ্চার হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জোরদার করেছে।
বহুতল ভবন, মার্কেট, বিপণিবিতান, পোশাক কারখানা এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু স্পর্শকাতর জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৮ দলের সমাবেশে যোগ দিতে জোটের নেতাকর্মীরা রাত থেকেই বাসে ও ট্রেনে করে ঢাকা যাচ্ছেন। বিস্ফোরক দ্রব্য, অস্ত্র, ও গোলাবারুদ বহন পর্যবেক্ষণের জন্য স্টেশনগুলোতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয় স্থানীয় প্রশাসন।
গাজীপুর পুলিশ, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নিয়মিত টহল দিচ্ছে। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি ৩ প্লাটুন বিজিবি সকাল ৯টা থেকে জেলায় বিভিন্ন জায়গায় টহল শুরু করে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল বাতেন পিপিএম জানান, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গাজীপুর জেলাকে নিরাপত্তার আস্তরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। অপরাধপ্রবণ ও স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত নজর দিচ্ছে।
দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত গাজীপুর জেলায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানান পুলিশ সুপার।
- বাংলানিউজ
COMMENTS