গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যাবহারের মূল্যহার নির্ধারণ, ঘোষণা ও বাস্তবায়নে আশ্বস্ত করে একদিকে কালক্ষেপণ অন্যদিকে থ্রিজি ইন্টারনেটের উচ্চমূল্য অনুমোদন দিয়ে বিটিআরসি জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের শাস্তি দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ এবং প্রতারক কর্মকর্তাদের তাড়িয়ে দিতে আগামী ২৮ অক্টোবর ২০১৩ খৃস্টাব্দ সোমবার বিকেল বিকেল সাড়ে ৩টায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিটিআরসিতে যাবে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলন। এছাড়া গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের উপযুক্ত মূল্যহার বিটিআরসি কর্তৃক নির্ধারণ ঘোষণা ও বাস্তবায়নের জন্য মহামান্য হাইকোর্টে রীট আবেদন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সংগঠনের পুরানা পল্টনস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জুলীয়াস চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত থ্রিজি ইন্টারনেটের উচ্চমূল্য অনুমোদনের প্রতিবাদ সভায় গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্যহার ঘোষণার দাবিতে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সংগঠনের পুরানা পল্টনস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জুলীয়াস চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত থ্রিজি ইন্টারনেটের উচ্চমূল্য অনুমোদনের প্রতিবাদ সভায় গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্যহার ঘোষণার দাবিতে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
সভায় অন্যান্যদের মাঝে বাংলাদেশ টেলিকম সাবস্ক্রাইবার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শার্দুল আহমেদ সেনা, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও নিউজ পোর্টাল গাজীপুর অনলাইনের প্রধান সম্পাদক এম.এ. কবির, মো. কামরুজ্জামান, মো. আরব আলী, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মেহেদী হাসান তাফসীর, ইউল্যাবিয়ান ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট রায়হান বিজন, সেলিম মোড়ল, জাহিদ হাসান মিন্টু, শেখ মোহাম্মদ জুয়েল, শাকিল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বলা হয়, মোবাইল টেলিফোনের কলচার্জ ঘোষণা করেছেন বিটিআরসি। কিন্তু বিদেশী অপারেটরদের সুবিধা দেয়ার জন্য গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের মূল্যহার ঘোষণার ক্ষেত্রে বিটিআরসির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা কালক্ষেপণ করছেন।
সভাপতির বক্তব্যে জুলীয়াস চৌধুরী বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের মূল্যহার বিটিআরসি কর্তৃক প্রতি মেগাবাইট ১০ পয়সা এবং প্রতি গিগাবাইট ১০ টাকা হারে এবং সর্বনিন্ম গতি ৫১২ কিলোবাইট অবিলম্বে নির্ধারণ ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে চাপের মুখে বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মাওলা ভুইয়া গত ০৫ জুন ২০১৩ খৃস্টাব্দ তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে জানান, গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সার্ভিসের দাম নির্ধারণ কস্ট মডিউল ছাড়া সম্ভব নয়। একই দাবিতে গত ১২ জুন ২০১৩ খৃস্টাব্দ বুধবার বিকেল ৩টায় তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলন বিটিআরসি কার্যালয়ের সামনে লাগাতার গণঅবস্থাণ শুরু করলে বিটিআরসির কর্মকর্তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন। ওই বৈঠকেও গোলাম মাওলা ভুইয়া ওই কস্ট মডিউলের অজুহাত দেখান। জানান, অপারেটরগুলোকে কস্ট মডিউলের জন্য ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয়েছে এবং এর পর পরই ঘোষণা করা হবে বলে গোলাম মাওলা ভুইয়া আশ্বস্ত করেন। গোলাম মাওলা ভুইয়ার ওই বক্তব্য প্রায় সকল গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
এমতবস্থায় কস্ট মডিউল ছাড়াই বিটিআরসির গ্রাহক পর্যায়ে ওয়াইফাই ইন্টারনেট সার্ভিসের অস্বাভাবিক উচ্চমূল্য নির্ধারণ করেন। এবং গত ৩ অক্টোবর গভীর রাতের আঁধারে অপারেটরদের প্রস্তাবিত থ্রিজি ইন্টারনেটের উচ্চমূল্য অনুমোদন দিয়ে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইন্টারনেটের উচ্চমূল্য অনুমোদন বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের সর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মাওলা ভুইয়া ও পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রকিবুল হাসান অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। অপারেটরদের দালাল এই দুই কর্মকর্তার কাছে বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনিল কান্তি বোস কাঠের পুতুল মাত্র। ইন্টারনেটের উচ্চমূল্য অনুমোদন দিয়ে এই দুই কর্মকর্তা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন।
সভায় জানানো হয়, বিটিআরসিতে কর্মরত অপারেটরদের দালালরা ভুক্তভোগি গ্রাহকদের কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য করছেন। যে কোন পরিণতির দায়ভার ওই সব দালালদেরই নিতে হবে।
সভায় বক্তারা দেশের বৃহত্তর উন্নয়নের স্বার্থে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সহজীকরণ ও সহজলভ্য করে আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের, ব্যবসা প্রসারের এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পরিবেশ সৃষ্টিতে অবদান রাখার জন্য বিটিআরসির কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
COMMENTS