আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১১ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে সারাদেশে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময়ে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, বিক্রি ও মজুত করা দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
কক্সবাজারে একই সাথে সাগরে নৌ-বাহিনীর অতিরিক্ত জাহাজ টহল, ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা ও বরফ কলের লাইসেন্স বাতিলসহ ২১ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তর জেলা ও উপজেলা প্রশাসনও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবে বলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে 'প্রধান প্রজনন মৌসুম ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ ২০১৩' উপলক্ষে জেলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোঃ রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন, কক্সবাজার মৎস্য গবেষণা ইনষ্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ জাহের, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, জেলা বোট মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সভাপতি আশরাফ আলী ও জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শ্রীমন্ত রাম দাস ।
সভায় জানানো হয়, প্রধান ইলিশ প্রজনন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে উপকূলীয় সাত জেলার ২১ উপজেলার ৭০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে। কক্সবাজার জেলায় ইলিশ আহরণ এলাকার পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া থেকে গন্ডামারা পর্যন্ত।
এদিকে, ইলিশ আহরণ বন্দের উদ্যোগ যথাযথ হলেও প্রকৃতপক্ষে তা কতটুকু কাজে লাগবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ প্রজননক্ষম ইলিশ মাছ রক্ষা কমিটিসহ অন্যরা সুপারিশে নানা সমস্যা তুলে ধরেছে। উপকুলীয় বিভিন্ন জেলায় কোস্ট গার্ড, নৌ-বাহিনী ক্যাম্প নেই। আইন প্রয়োগে প্রয়োজনীয় জনবলেরও অভাব রয়েছে।
এছাড়া ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের সময় জেলেদের প্রণোদনাও নেই, যা জেলেদের হতাশ করেছে।
COMMENTS