কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল সড়কে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পূর্ব পাশে সরবরাহ লাইনের ছিদ্রপথে নির্গত গ্যাসে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় ওই লাইনের পাশে কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল সড়কে প্রায় ২ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়। খবর পেয়ে নরসিংদীর পলাশ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে প্রায় ঘন্টা খানেক চেষ্ঠা করে আগুন নেভায়। আগুনে পাশের বৈদ্যুতিক খুটিও পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
জানা যায়, শনিবার সকালে বালীগাঁও গ্রামের নিহার চন্দ্র দাস মাস্টারের বাড়ীর সংযোগ লাইনে পাশ্ববর্তী রাস্তায় গ্যাসের সংযোগ থেকে সকাল প্রায় ৮টার দিকে আগুন বের হতে থাকে। পরবর্তীতে স্থানীয় কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম রিপনের সহযোগিতায় স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্ঠা করেও পুরোপুরি ভাবে নেভাতে পারেনি। তখন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান তালুকদারকে বিষয়টি জানালে তিনি তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে নরসিংদীর পলাশ ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পলাশ ফায়ার সার্ভিসের সাব স্টেশন অফিসার মো. ফজলুল হকের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ১০টায় ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ঘন্টা খানেক চেষ্ঠা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কিন্তু লিক হওয়া পাইপ থেকে তখনও গ্যাস বের হতে দেখা যাচ্ছে। আগুনে পাশের বৈদ্যুতিক খুটি পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসময় কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল সড়কে প্রায় ২ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বিঘিœত হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, অপরিপক্ষ ও অদক্ষ লোক দ্বারা গ্যাস লাইনের কাজ করার কারণে আজ এধরনের ঘটনা ঘটেছে। অভিজ্ঞ লোক দ্বারা ও সঠিক ভাবে কাজ না করলে আবারো যে কোন সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। গ্যাস লাইনের স্থানীয় ঠিকাদার মো. মোস্তফার প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন সাংবাকিদের জানান, সিগারেটের আগুন থেকে ওই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্যাস লাইনের রাইজারের কাজ পাওয়া টঙ্গির সিবল্যান কনস্ট্রাকশনের মালিক মানিক মিয়া সাংবাকিদের জানান, টঙ্গি থেকে তিতাস গ্যাসের লোক যাচ্ছে তারা লাইনের কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান তালুকদার ও কালীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
COMMENTS