আশরাফুল আলম আইয়ুব, কালীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্যসহ কৃষক ও খামার মালিকদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ প্রায় ৩ বছর ধরে এ অফিসে কর্মরত রয়েছেন। চিকিৎসা সেবাপ্রার্থীরা সকালে এলেও তিনি ৯টার পরিবর্তে দুপুর ১২টায় অফিসে এসে বিকেল ৩টায় চলে যান। জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের নরুন গ্রামের কৃষক মজিদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, পর পর দুই দিন অফিসে গিয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে না পেয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা কাপাসিয়া অফিস থেকে আমার গরুর চিকিৎসা নিয়েছি।
একাধিক খামারি অভিযোগ করে বলেন, ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির কোন রোগ দেখা দিলে আমাদের কাপাসিয়া উপজেলা অফিসে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। কালীগঞ্জ উপজেলার নিকটস্থ নাগরী ও তুমলিয়া ইউনিয়নে মুরগির ফার্ম মালিকদের চিকিৎসা সেবা পেতেও কাপাসিয়ায় যেতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খামারি বলেন, কাপাসিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে দৈনন্দিন সেবা রেজিস্ট্রার অনুসন্ধান করলেই এ অভিযোগের সত্যতা মিলবে। এছাড়া বার্ড ফ্লু নিয়ন্ত্রণে স্প্রে কার্যক্রমের প্রকল্প থেকে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ গত বছর প্রায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যা নিয়ে অফিস পাড়ায় মুখরোচক সমালোচনাও শোনা যাচ্ছে।
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে কৃষক ও গবাদি পশুর খামারিরা এখন গরু মোটা তাজাকরণ কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। এই মোটা তাজাকরণের ক্ষেত্রে তিনি মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর প্যারিয়াকটিন ও ডেকাসন ট্যাবলেট প্রয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন খামারিদের। তার পরামর্শেই ভারতীয় এ নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর ওষুধ খামারিরা গরু মোটা তাজাকরণের জন্য ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছেন বক্তারপুর গ্রামের সাইফুল মিয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক খামারি জানিয়েছেন, খামার রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ তার নিকট থেকে দেড় হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েছেন। টাকা ছাড়া কোন খামার রেজিস্ট্রেশন হয় না। গবাদি পশু রোগাক্রান্ত হলে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে ফোন করা হলে তাকে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা ভিজিট দিতে হবে বলে দর কষাকষি করেন। জামালপুর গ্রামের চান মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ কর্মকর্তা কালীগঞ্জবাসীকে সেবার নামে হয়রানি করে চলেছেন। তিনি টাকা ছাড়া কিছুই বুঝেন না। পাঁচ ৬০০ টাকায় তিনি কোন 'ভিজিট' করেন না।
গত শনিবার দুপুরে সেলিম উল্লাহর মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বার বার সাক্ষাৎ করার কথা বলে রিপোর্টটি না করার অনুরোধ করেন। পরে এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, স্যার হজে রয়েছেন। আমি ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বপালন করছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ কখন আসেন কখন যান তা জানি না, তবে একাধিক দিন ৪টার দিকে ফোন দিয়েও তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। দায়িত্বে অবহেলা ও অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্যসহ কৃষক ও খামার মালিকদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ প্রায় ৩ বছর ধরে এ অফিসে কর্মরত রয়েছেন। চিকিৎসা সেবাপ্রার্থীরা সকালে এলেও তিনি ৯টার পরিবর্তে দুপুর ১২টায় অফিসে এসে বিকেল ৩টায় চলে যান। জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের নরুন গ্রামের কৃষক মজিদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, পর পর দুই দিন অফিসে গিয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে না পেয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা কাপাসিয়া অফিস থেকে আমার গরুর চিকিৎসা নিয়েছি।
একাধিক খামারি অভিযোগ করে বলেন, ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির কোন রোগ দেখা দিলে আমাদের কাপাসিয়া উপজেলা অফিসে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। কালীগঞ্জ উপজেলার নিকটস্থ নাগরী ও তুমলিয়া ইউনিয়নে মুরগির ফার্ম মালিকদের চিকিৎসা সেবা পেতেও কাপাসিয়ায় যেতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খামারি বলেন, কাপাসিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে দৈনন্দিন সেবা রেজিস্ট্রার অনুসন্ধান করলেই এ অভিযোগের সত্যতা মিলবে। এছাড়া বার্ড ফ্লু নিয়ন্ত্রণে স্প্রে কার্যক্রমের প্রকল্প থেকে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ গত বছর প্রায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যা নিয়ে অফিস পাড়ায় মুখরোচক সমালোচনাও শোনা যাচ্ছে।
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে কৃষক ও গবাদি পশুর খামারিরা এখন গরু মোটা তাজাকরণ কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। এই মোটা তাজাকরণের ক্ষেত্রে তিনি মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর প্যারিয়াকটিন ও ডেকাসন ট্যাবলেট প্রয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন খামারিদের। তার পরামর্শেই ভারতীয় এ নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর ওষুধ খামারিরা গরু মোটা তাজাকরণের জন্য ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছেন বক্তারপুর গ্রামের সাইফুল মিয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক খামারি জানিয়েছেন, খামার রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ তার নিকট থেকে দেড় হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েছেন। টাকা ছাড়া কোন খামার রেজিস্ট্রেশন হয় না। গবাদি পশু রোগাক্রান্ত হলে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে ফোন করা হলে তাকে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা ভিজিট দিতে হবে বলে দর কষাকষি করেন। জামালপুর গ্রামের চান মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ কর্মকর্তা কালীগঞ্জবাসীকে সেবার নামে হয়রানি করে চলেছেন। তিনি টাকা ছাড়া কিছুই বুঝেন না। পাঁচ ৬০০ টাকায় তিনি কোন 'ভিজিট' করেন না।
গত শনিবার দুপুরে সেলিম উল্লাহর মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বার বার সাক্ষাৎ করার কথা বলে রিপোর্টটি না করার অনুরোধ করেন। পরে এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, স্যার হজে রয়েছেন। আমি ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বপালন করছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ কখন আসেন কখন যান তা জানি না, তবে একাধিক দিন ৪টার দিকে ফোন দিয়েও তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। দায়িত্বে অবহেলা ও অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
COMMENTS