পেশাদার নৃত্যশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে নিউ ইয়র্কে এসেই ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল পপতারকা ম্যাডোনাকে। সম্প্রতি এক ম্যাগাজিনে নিজের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তিনি।
কন্টাক্টমিউজিকের খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক শহরের নাইফ পয়েন্ট এলাকায় ক্যারিয়ারের প্রথম বছরই ধর্ষণের শিকার হন বর্তমান সময়ের পপ আইকন ম্যাডোনা। ফ্যাশন ম্যাগাজিন ‘হারপারস বাজার’-এর নতুন সংখ্যায় ম্যাডোনা খুলে বলেছেন তার সেই অভিজ্ঞতার কথা।
কন্টাক্টমিউজিকের খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক শহরের নাইফ পয়েন্ট এলাকায় ক্যারিয়ারের প্রথম বছরই ধর্ষণের শিকার হন বর্তমান সময়ের পপ আইকন ম্যাডোনা। ফ্যাশন ম্যাগাজিন ‘হারপারস বাজার’-এর নতুন সংখ্যায় ম্যাডোনা খুলে বলেছেন তার সেই অভিজ্ঞতার কথা।
নিউ ইয়র্কে কাটানো সেই দিনগুলোর কথা ম্যাগাজিনে লিখেছেন ম্যাডোনা নিজেই। তিনি লেখেন, আমি যে রকম ভেবেছিলাম, নিউ ইয়র্ক তেমন ছিল না। এই শহর আমাকে দুই বাহু তুলে স্বাগত জানায়নি।
ম্যাডোনা আরও লেখেন, প্রথম বছরে আমি গানপয়েন্ট এলাকায় থাকতাম। একদিন আমার পেছনে ছুরি ধরে আমাকে একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ধর্ষণ করা হয়। আমি যে এপার্টমেন্টে থাকতাম সেখানে তিনবার ডাকাতি হয়েছিল। আমার রেডিওটি তারা নিয়ে যাওয়ার পর আমার কাছে আর মূল্যবান কিছুই ছিল না।
ক্যারিয়ারের এত বছরে প্রথমবারের মতো এই অভিজ্ঞতা জনসম্মুখে তুলে ধরেছেন ম্যাডোনা। কিন্তু তার মতে, ঐ ঘটনা তাকে শিখিয়েছে কীভাবে টিকে থাকতে হয়।
ওই সময়ে নিজের ভাসমান জীবন নিয়ে ম্যাডোনা আরও লেখেন, আমি চিত্রশিল্পীদের সামনে নগ্ন মডেল হয়ে যে অর্থ আয় করতাম তা দিয়ে বাড়ি ভাড়া দিতাম। আমাকে নগ্নভাবে দেখে তারা শুধু ছবিই আঁকত না, আরও অনেক কিছুই ভাবত। কিন্তু আমার আর কোনো উপায় ছিল না।
পরিচালক গাই রিচিকে বিয়ে করে ইংল্যান্ডে যাবার বিষয়টিও খুলে বলেন ম্যাডোনা। তিনি লেখেন, আমার কাছে মনে হয় নতুন একটি দেশে গিয়ে বসত গড়া খুবই কঠিন একটি কাজ। আমি ওদের সংস্কৃতি বুঝে উঠতে পারিনি। ওদের চালচলন আমার সঙ্গে মিলত না। আরও একবার আমি একেবারে একা হয়ে পড়েছিলাম।
তিনি আরও লেখেন, কিন্তু এতকিছুর পরেও আমি চেষ্টা করেছি মানিয়ে নেওয়ার। আমি ছোটবেলা থেকেই ইংল্যান্ডকে ভালোবাসি। জর্জিয়ান স্থাপত্য, ইংলিশ পুডিং এবং ইংল্যান্ডের গ্রাম-- এসব আমার খুব পছন্দের। পৃথিবীতে বোধহয় ইংল্যান্ডের চেয়ে সুন্দর গ্রাম কোথাও নেই।
বিয়ের প্রায় এক দশক পরে স্বামী গাই রিচির সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে চার সন্তানের মা ম্যাডোনার। এরপর থেকে তিনি নিউ ইয়র্ক শহরে বসবাস করছেন।
উপসংহারে নিজের এত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শেখা একটি বিষয় তুলে ধরে অনুচ্ছেদটি শেষ করেন ম্যাডোনা। তা হল, আমার এত বছরের অভিজ্ঞতায় আমি একটি বিষয় শিখেছি, যদি নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য লড়াই করার ইচ্ছা না থাকে, তবে এর জন্য কোনো চেষ্টাই করো না।
COMMENTS