বিএনপি চেয়ারপার্সন ও জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া আগামী ২৯ অক্টোবর হরতাল শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে সংলাপে বসতে প্রস্তুত রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় টেলিফোনে বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে কথা বলার পর বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান। বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় টেলিফোনে বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে কথা বলার পর বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান। বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে কথা বলার সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মারুফ কামাল খান বিরোধী দলীয় নেতার সংগে ছিলেন।
বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে আজ সন্ধ্যায় টেলিফোনে কথা হয়েছে। তাঁরা টেলিফোনে ৪০ মিনিট কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলীয় নেতাকে ২৮ অক্টোবর গণভবণে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। খালেদা জিয়া তাঁকে বলেছেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের হরতাল কর্মসূচি রয়েছে, এজন্য ওই সময় তিনি যেতে পারবেন না। তাই ২৯ অক্টোবর হরতাল কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর যে কোন সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে সংলাপ বা আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।’
উল্লেখ্য, ১৮ দল আহুত ৬০ ঘন্টার এই হরতাল রোববার সকাল ৬টা থেকে কার্যকর হচ্ছে।
মারুফ কামাল জানান, ‘কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী হরতাল প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানালে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, জোটের শরিকদের সঙ্গে আলোচনা না করে তিনি হরতাল প্রত্যাহার করতে পারেন না।’
প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলীয় নেতাকে টেলিফোন করার মাধ্যমে বিদ্যমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের শুভ সূচনা করেছেন উল্লেখ করে মারুফ কামাল বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি টেলিফোনে কথা বলার মাধ্যমে আলোচনার সূচনা হলো। প্রধানমন্ত্রী এই আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাবেন। জাতির প্রত্যাশার আলোক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান হবে।’
COMMENTS