আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ীই হবে বলে আবারও দৃঢ়তা উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে নির্বাচন হবে এবং নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’
বৃহস্পতিবার গাজীপুরের ভাওয়াল বদলে আলম কলেজ মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার গাজীপুরের ভাওয়াল বদলে আলম কলেজ মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ ভোটের মালিক। জনগণই নির্ধারণ করবে কে ক্ষমতায় আসবে। আমাদের সময়ে একটা নির্বাচনেও যখন কারচুপি হয়নি, সুতরাং এই নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। উনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান। হাইকোর্ট সেটা অবৈধ ঘোষণা করেছে। সংসদ সদস্যরা সেটা মেনে নিয়েছেন। উনি ভোট চুরি করতে পারবেন না, তালগোল পাকানোর চেষ্টা করছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উনাকে একটার সময় আমি ফোন করেছি। পরবর্তীতে আমার এডিসি যখন শিমুল বিশ্বাসের সঙ্গে (খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী) কথা বললেন, উনি জানালেন রাত নয়টার আগে তিনি কথা বলতে পারবেন না।’ যাঁর প্রস্তুতি নিতে ৮-৯ ঘণ্টা সময় লাগে, তিনি কীভাবে দেশ চালাবেন?’ তিনি বলেন, ‘তার পর আবারও তাকে ফোন দিলাম। আমি তাকে হরতাল প্রত্যাহারে বারবার অনুরোধ করলাম তিনি একবার বললেন হরতাল প্রত্যাহারে ১৮ দলের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আবার বললেন যদি আগে ফোন দিলে বিষয়টি ভেবে দেখা হতো।’
শেখ হাসিনা অভিযোগ করে বলেন, ‘আসলে উনি (খালেদা জিয়া) যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্যই হরতাল দিচ্ছেন, মানুষ খুন করছেন। আমার কথা সেদিন শুনলে হরতালে বিশটি জীবন হারাতে হতো না। আসলে দেশের মানুষ ভাল থাকুক এটা তার সহ্য হয় না। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য তিনি দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘৪ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। কিন্তু শোনা যাচ্ছে বিএনপি নেত্রী নাকি ৪ নভেম্বর থেকে হরতাল দেবেন। আমি তাকে অনুরোধ করবো কোমলমতি শিশুদের কথা চিন্তা করে হরতাল দেবেন না।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি না বিএনপি নেত্রী আমার কথা রাখবেন কি না। কারণ উনি তো সবকিছুতেই না না করেন। তিনি তো না ছাড়া কিছুই জানেন না।’
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে গাজীপুরবাসীর কাছে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আসার পর একটা পর একটা উন্নয়ন করে যাচ্ছি। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আবারও আমাদের ক্ষমতায় আসতে হবে। এজন্য আমি আপনাদের কাছে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট চাই।’
পূর্নাঙ্গ বক্তব্য (৩৭ মিনিট ০২ সেকেন্ড)
COMMENTS