গাজীপুর, নারায়াণগঞ্জ, সাভার, কেরানীগঞ্জসহ ঢাকার আশপাশের এলাকায় ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদন নিয়ে বিল্ডিং নির্মাণ করা হচ্ছে অপরিকল্পিতভাবে। এসব বিল্ডিং নির্মাণের কারণে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলেই দায় এসে পড়ে রাজউকের ওপর। এ ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধের লক্ষ্যে শিগগিরই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ঢাকার আশপাশের এসব এলাকার কার্যক্রম পরিচালনা করতে ৮টি জোনাল অফিস চালু করতে যাচ্ছে।
জোনাল অফিসের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে ৪ জন অথরাইজড কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন জোনাল অফিস স্থাপনের জন্য সাভারের আশুলিয়া, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে অফিস খুঁজছে রাজউক। রাজউক কর্মকর্তাদের দাবি, রাজউক জোনাল অফিসের কার্যক্রম শুরু করলেই বিল্ডিং নির্মাণের অনুমোদন ক্ষমতা হারাবে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রাজউকের ৮টি জোনাল অফিস স্থাপনে অনুমোদন দেয় সরকার। এর পরই গত ২৬ সেপ্টেম্বর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে রাজউকের জোনাল অফিসের জন্য ৪ জন অথরাইজড কর্মকর্তার নিয়োগসংক্রান্ত আদেশ জারি করে। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন পারভীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, রাজউকের অথরাইজড-৩ এ পদে শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-১-এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানকে, রাজউকের অথরাইজড-৪ বি পদে শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৩-এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আশীষ কুমার সাহাকে, রাজউকের অথরাইজড-৩ বি পদে শেরেবাংলা মেডিক্যাল গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মাহাবুব রহমানকে এবং রাজউকের অথরাইজড-১ বি পদে গণপূর্ত সম্পদ বিভাগের উপ-প্রকৌশলী আবু জাফর শফিউল হান্নানকে নিয়োগ দেয় সরকার। আদেশে তাদের শিগগির স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়।
এদিকে, সরকারের ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজউকের অথরাইজড অফিসার-৪ বি-এর দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অফিস খুঁজতে চিঠি ইস্যু করেন রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) গোলাম মোস্তফা। চিঠিতে বলা হয়- যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, শ্যামপুর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, বন্দর, সোনারগাঁ (আংশিক) এলাকার কার্যক্রম পরিচালনা করতে নারায়ণগঞ্জ সদরের একটি অফিস ভাড়া নিতে অনুরোধ করা হল। ওই চিঠি পাওয়ার পরই রাজউকের নির্বাহী প্রকৌশলী (দক্ষিণ) বিভাগ থেকে অফিস খোঁজা শুরু হয়। শুধু নারায়ণগঞ্জ জেলা সদরে নয়, অথরাইজড অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করতে অফিস খোঁজা হচ্ছে গাজীপুর জেলা সদরে ও সাভারের আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডমের পাশে।
রাজউকের মেম্বার (প্রশাসন ও ভূমি) ভবেশ চন্দ্র পোদ্দার বলেন, রাজউকের সেবা কার্যক্রম বাড়াতে ৮টি জোনাল অফিস চালু করা হচ্ছে। শিগগিরই জোনাল অফিসের কার্যক্রম শুরু করা হবে। জোনাল অফিসের কার্যক্রম চালু শুরু হলে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের বাসিন্দাদের কষ্ট করে রাজউক ভবনে আসতে হবে না। রাজউকের কার্যক্রম স্থানীয় অফিসের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। এতে ওই এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) গোলাম মোস্তফা বলেন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে অথারাইজড কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে অথারাইজড অফিসারের জন্য গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ ও সাভারের নতুন কার্যালয় খোঁজা হচ্ছে। নতুন জোনাল অফিস চালু করা হলে সরকারের সিদ্ধান্ত মতে, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ নতুন ভবন নির্মাণের কোনও অনুমোদন দিতে পারবে না। ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও বিল্ডিংয়ের নকশা অনুমোদন কার্যক্রম জোনাল অফিসের মাধ্যমে দেওয়া হবে। এতে রাজউকের দায়িত্ব বাড়বে। কমবে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা।
রাজউকের এক কর্মকর্তা বলেন, নারায়ণগঞ্জ, ডেমরা, সোনারগাঁও, বন্দর, সাভার, আশুলিয়া, টঙ্গী, কেরানীগঞ্জসহ আশপাশের এলাকাগুলো রাজউকের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অবৈধভাবে লাখ-লাখ ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। জোনাল অফিসের কার্যক্রম শুরু হলে ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দার নামীয় নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা হ্রাস পাবে। স্থানীয়রা রাজউকের নিয়ম ও বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করতে বাধ্য হবেন।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রাজউকের ৮টি জোনাল অফিস স্থাপনে অনুমোদন দেয় সরকার। এর পরই গত ২৬ সেপ্টেম্বর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে রাজউকের জোনাল অফিসের জন্য ৪ জন অথরাইজড কর্মকর্তার নিয়োগসংক্রান্ত আদেশ জারি করে। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন পারভীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, রাজউকের অথরাইজড-৩ এ পদে শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-১-এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানকে, রাজউকের অথরাইজড-৪ বি পদে শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৩-এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আশীষ কুমার সাহাকে, রাজউকের অথরাইজড-৩ বি পদে শেরেবাংলা মেডিক্যাল গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মাহাবুব রহমানকে এবং রাজউকের অথরাইজড-১ বি পদে গণপূর্ত সম্পদ বিভাগের উপ-প্রকৌশলী আবু জাফর শফিউল হান্নানকে নিয়োগ দেয় সরকার। আদেশে তাদের শিগগির স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়।
এদিকে, সরকারের ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজউকের অথরাইজড অফিসার-৪ বি-এর দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অফিস খুঁজতে চিঠি ইস্যু করেন রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) গোলাম মোস্তফা। চিঠিতে বলা হয়- যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, শ্যামপুর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, বন্দর, সোনারগাঁ (আংশিক) এলাকার কার্যক্রম পরিচালনা করতে নারায়ণগঞ্জ সদরের একটি অফিস ভাড়া নিতে অনুরোধ করা হল। ওই চিঠি পাওয়ার পরই রাজউকের নির্বাহী প্রকৌশলী (দক্ষিণ) বিভাগ থেকে অফিস খোঁজা শুরু হয়। শুধু নারায়ণগঞ্জ জেলা সদরে নয়, অথরাইজড অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করতে অফিস খোঁজা হচ্ছে গাজীপুর জেলা সদরে ও সাভারের আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডমের পাশে।
রাজউকের মেম্বার (প্রশাসন ও ভূমি) ভবেশ চন্দ্র পোদ্দার বলেন, রাজউকের সেবা কার্যক্রম বাড়াতে ৮টি জোনাল অফিস চালু করা হচ্ছে। শিগগিরই জোনাল অফিসের কার্যক্রম শুরু করা হবে। জোনাল অফিসের কার্যক্রম চালু শুরু হলে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের বাসিন্দাদের কষ্ট করে রাজউক ভবনে আসতে হবে না। রাজউকের কার্যক্রম স্থানীয় অফিসের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। এতে ওই এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) গোলাম মোস্তফা বলেন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে অথারাইজড কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে অথারাইজড অফিসারের জন্য গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ ও সাভারের নতুন কার্যালয় খোঁজা হচ্ছে। নতুন জোনাল অফিস চালু করা হলে সরকারের সিদ্ধান্ত মতে, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ নতুন ভবন নির্মাণের কোনও অনুমোদন দিতে পারবে না। ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও বিল্ডিংয়ের নকশা অনুমোদন কার্যক্রম জোনাল অফিসের মাধ্যমে দেওয়া হবে। এতে রাজউকের দায়িত্ব বাড়বে। কমবে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা।
রাজউকের এক কর্মকর্তা বলেন, নারায়ণগঞ্জ, ডেমরা, সোনারগাঁও, বন্দর, সাভার, আশুলিয়া, টঙ্গী, কেরানীগঞ্জসহ আশপাশের এলাকাগুলো রাজউকের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অবৈধভাবে লাখ-লাখ ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। জোনাল অফিসের কার্যক্রম শুরু হলে ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দার নামীয় নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা হ্রাস পাবে। স্থানীয়রা রাজউকের নিয়ম ও বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করতে বাধ্য হবেন।
COMMENTS