মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আপিল বিভাগ থেকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা আবদুল কাদের মোল্লার দণ্ড নভেম্বরের মধ্যেই কার্যকর হতে পারে। চলতি সপ্তাহেই পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়া যেতে পারে। এরপর কাদের মোল্লা রায় পর্যালোচনার সুযোগ পেলেও তা শেষ হবে এক মাসের মধ্যে। ফলে পর্যালোচনার পর সাজা কার্যকর থাকলে তা কার্যকর হতে আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সরকারপক্ষের আইনজীবী তুরিন আফরোজ জানিয়েছেন, আপিল বিভাগের রায়ের ২০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রায় দেয়ার কথা আছে।গত ১৭ সেপ্টেম্বর কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আপিল বিভাগ।রায়ের পর ২০ দিন পূর্ণ হবে আগামী সোমবার। এরপর কাদের মোল্লা রায় পর্যালোচনা করতে পারবেন কি না, তা নিশ্চিত নয় এখনও।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সরকারপক্ষের আইনজীবী তুরিন আফরোজ জানিয়েছেন, আপিল বিভাগের রায়ের ২০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রায় দেয়ার কথা আছে।গত ১৭ সেপ্টেম্বর কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আপিল বিভাগ।রায়ের পর ২০ দিন পূর্ণ হবে আগামী সোমবার। এরপর কাদের মোল্লা রায় পর্যালোচনা করতে পারবেন কি না, তা নিশ্চিত নয় এখনও।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তরা রায় পর্যালোচনার অধিকার পাবেন না। কারণ আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে দণ্ডপ্রাপ্তদের বিষয়ে আপিল বিভাগের রায়ের পর এর কথা বলা নেই। তবে কাদের মোল্লার আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক দাবি করেছেন, তার মক্কেল রায় পর্যালোচনার আবেদন করার অধিকার রাখেন এবং তারা তা করবেন।
ফৌজদারি অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের ফাঁসির দণ্ডের পর ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে দণ্ড কার্যকর হয়। তবে এই সময়ের মধ্যে রায় পর্যালোচনার আবেদন করলে ওই সময়টা দিন গণনার বাইরে থাকবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তুরিন আফরোজ বলেন, রায় পর্যালোচনা আসামির কোনো অধিকার নয়। আদালত যদি মনে করে তবেই তিনি এই সুযোগ পাবেন। তবে এই আবেদন করলেও পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যেই সে আবেদনের নিস্পত্তি হতে হবে। পর্যালোচনায় রায় বহাল থাকলে কাদের মোল্লা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাভিক্ষার জন্য আরও সাতদিন সময় পাবেন। এই হিসাবেও নভেম্বরের মধ্যেই তার দণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা।
১৭ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে বিচারিক আদালতের যাবজ্জীবন সাজা বাড়িয়ে ফাঁসির আদেশ দেয়। এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের রায়ে কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে সারাদেশে গণজাগরণ শুরু হলে সরকার রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের আপিলের সুযোগ রেখে আইন সংশোধন করে।
COMMENTS