তানজীদ আশরাফ: শ্রীপুরের আসওয়াদ পোশাক কারখানায় লাগা আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের কয়েকটি ভবনে। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আগুন নিয়ন্ত্রণের। তবে এখনও আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশে।
এদিকে, অগ্নিদগ্ধ হয়ে ইতোমধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ফায়াস সার্ভিস কর্মকর্তারা। তবে এখনও বেশ কয়েকজন আটকে রয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, অগ্নিদগ্ধ হয়ে ইতোমধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ফায়াস সার্ভিস কর্মকর্তারা। তবে এখনও বেশ কয়েকজন আটকে রয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিহততের মধ্যে নয়ন নামে একজনের বাড়ি রংপুর জেলায়। বাকি নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ইনচারর্জ আবু জাফর আহমেদ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আনসার রোডে বহেরার চালায় পলমল গ্রুপের ওই কারাখানায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন কেমিকেল থেকে আগুনের সূত্রপাত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যা ৬টার দিকে আসওয়াদ কারাখানায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে গাজীপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে আসে। তারা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলে হঠাৎ করেই বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এতে একজন নিরাপত্তাকর্মী ৭ জন আহত হয়। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, বয়লার বিস্ফোরণের পর পুরো কারাখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ফায়াস সার্ভিক কর্মীদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের আরো কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে। সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে একটানা সাড়ে ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পরও বাড়তে থাকে আগুনের ভয়াবহতা। এসময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় ৯ জন। তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এলাকাবাসী জানায়, কয়েক হাজার শ্রমিক ওই কারাখানায় কাজ করলেও আগুন লাগার মুহূর্তে নিরাপত্তাকর্মী ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি। কয়েকঘণ্টা ধরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে কারখানা থেকে আশপাশ এলাকায়। এসময় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
লিটন নামে আহত এক যুবক জানান, কারখানার গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এতে আগুনের ফুলকি ছিটকে এসে তার গায়ে পড়ে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০টি ইউনিট কাজ করছে।
COMMENTS