তানজিদ আশরাফ, শ্রীপুর থেকেঃ শ্রীপুরে সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টারে দিকে শ্রীপুর পৌর এলাকার মুক্তমঞ্চে সমাবেশ আহ্বান নিয়ে দুই দলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর এঘটনা ঘটে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টারে দিকে শ্রীপুর পৌর এলাকার মুক্তমঞ্চে সমাবেশ আহ্বান নিয়ে দুই দলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর এঘটনা ঘটে।
আহত মোজাম্মেল, সাদেক সরকার এবং কামাল নামের তিনজনকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের আতঙ্কে শহরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তমঞ্চে সমাবেশ আহ্বানকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ৩টার দিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য রহমত আলীর ছেলে জামিল হাসান দুর্জয় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে মুক্তমঞ্চে সমাবেশ করতে যান। মুক্তমঞ্চে আওয়ামী লীগের উপস্থিতির সংবাদ পেয়ে মুক্তমঞ্চের দুই দিকে বিএনপির কর্মীরা জড়ো হতে থাকে। সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ দুই দলের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থান নেয়।
এসময় বিএনপির মিছিল মুক্তমঞ্চের দিকে আসতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। বাঁধা না মানায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ লেগে যায়। ওই সময় মুক্তমঞ্চ থেকে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয়। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ কর্মীরা বিএনপি কর্মীদের লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া করে। এতে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে শ্রীপুর রেলগেট থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলে পুলিশের সাথে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল ছুড়ে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের অধিকাংশ বিএনপির নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মহসীন কাদির সংঘর্ষের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
COMMENTS