অবৈধ গ্যাস সংযোগের প্রতি দৃষ্টি না দিয়ে বৈধ গ্যাস সংযোগের কাগজপত্রের জের ধরে গাজীপুর তিতাস গ্যাস অফিসের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ৫ দিন ধরে সব কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে কার্যক্রম শুরু হলেও দুপক্ষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
চরম বিপাকে পড়েছে গ্রাহকরা। গ্রাহক কাজল রেখা বলেছেন, অফিসে ঢুকতে দিচ্ছে না, কোনো কথাও শুনতে চাচ্ছে না। অফিস সূত্রে জানা যায়, গ্যাস অফিসের বিভিন্ন কাজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অফিস কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়ে আসছে। ঠিকাদাররা সরকারি বিধিবিধান মেনে কাজ করতে চান না। তারা স্থানীয় লোক হওয়ায় এবং রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সখ্য থাকায় প্রভাব অফিসে খাটানোর চেষ্টা করেন। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দ্রুত কাজ করে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এতে অফিস কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের মাঝে-মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। গ্যাস ঠিকাদার মোঃ জসিম উদ্দিন বলেছেন, তাদের মাধ্যমেই গ্রাহকদের সব কাজ অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা করে থাকেন। কাজেই গ্রহকের যত কথা তাদেরই বেশি শুনতে হয়। সময়মতো সংযোগ দিতে না পারলে অনেক গ্রাহক নানা কথা শুনিয়ে দেন। এরপর দলীয় নেতাদের আত্মীয়-স্বজন হলে তো কোনো কথাই নেই। গ্রাহকদের চাপ মাথায় নিয়ে গ্যাস অফিসে গেলে অফিসের কর্মকর্তারা নানা নিয়ম-কানুন দেখিয়ে আজ না কাল বলে ফাইল ফেলে রাখেন। জসিম উদ্দিন আরও বলেন, বুধবার থেকে কর্মকর্তারা নকশা ছাড়া কোনো গ্রাহকের ফাইলে সই করছেন না। যদিও এই নকশার কপি গ্যাস অফিসে তাদের হেফাজতে রয়েছে। এ নকশা বের করতে মাসের পর মাস সময় পার করে দেয়।
আগে প্রকল্পের আওতায় কোনো বাড়ির নতুন চুলা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নকশার প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু বুধবার থেকে নকশা ছাড়া কোনো ফাইল স্বাক্ষর না করায় এই অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চাই কর্মকর্তারা গ্রাহক সেবায় মনোযোগী হোক।
দ্রুত কাজ সমাধা করুক। এ বিষয়ে গাজীপুর তিতাস গ্যাস অফিসের জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার আঃ ওয়াহেদ আলোকিত বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে জানান, ঠিকাদারদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের কোনো বিরোধ নেই। মূলত আমরা সবাই গ্রাহকদের সেবা দিতে চাই। দ্রুত কাজ করে গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করতে চাই। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে কিছু অফিসিয়াল অর্ডার ও নিয়ম থাকে সেগুলো অনুসরণ করে কর্মকর্তাদের কাজ করতে হয়।
তিনি সংবাদদাতাকে আরও জানান, প্রকল্পের আওতায় নতুন সংযোগ বা চুলা বৃদ্ধির প্রয়োজন হলে নকশা নয় পুরনো নকশার নম্বর হলেই হয়। নম্বর ছাড়া সংযোগ বৃদ্ধি করলে সেটা অবৈধ কিনা প্রশ্ন ওঠে। দালালদের দৌরাত্ম্য সম্পর্কে তিনি বলেন কেউ যদি দালালদের খপ্পরে পড়ে তাহলে আমাদের কি করার আছে। তিনি সবাইকে সতর্ক হয়ে বৈধ লাইসেন্সধারী ঠিকাদারদের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
আগে প্রকল্পের আওতায় কোনো বাড়ির নতুন চুলা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নকশার প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু বুধবার থেকে নকশা ছাড়া কোনো ফাইল স্বাক্ষর না করায় এই অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চাই কর্মকর্তারা গ্রাহক সেবায় মনোযোগী হোক।
দ্রুত কাজ সমাধা করুক। এ বিষয়ে গাজীপুর তিতাস গ্যাস অফিসের জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার আঃ ওয়াহেদ আলোকিত বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে জানান, ঠিকাদারদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের কোনো বিরোধ নেই। মূলত আমরা সবাই গ্রাহকদের সেবা দিতে চাই। দ্রুত কাজ করে গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করতে চাই। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে কিছু অফিসিয়াল অর্ডার ও নিয়ম থাকে সেগুলো অনুসরণ করে কর্মকর্তাদের কাজ করতে হয়।
তিনি সংবাদদাতাকে আরও জানান, প্রকল্পের আওতায় নতুন সংযোগ বা চুলা বৃদ্ধির প্রয়োজন হলে নকশা নয় পুরনো নকশার নম্বর হলেই হয়। নম্বর ছাড়া সংযোগ বৃদ্ধি করলে সেটা অবৈধ কিনা প্রশ্ন ওঠে। দালালদের দৌরাত্ম্য সম্পর্কে তিনি বলেন কেউ যদি দালালদের খপ্পরে পড়ে তাহলে আমাদের কি করার আছে। তিনি সবাইকে সতর্ক হয়ে বৈধ লাইসেন্সধারী ঠিকাদারদের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
COMMENTS