পলাশ প্রধান, টঙ্গী প্রতিনিধিঃ টঙ্গীতে চাঞ্চল্যকর সাইফুল হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত স্ত্রী টুম্পা ও তার কথিত প্রেমিক রকিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে টঙ্গী থানা পুলিশ। টুম্পা তার স্বামী হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় নিহত সাইফুলের স্ত্রী নূরজাহান টুম্পাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
পুলিশ জানায়, এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকা নিহতের স্ত্রীর কথিত প্রেমিক রকি (৩০)কে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলা থেকে ও তার সহযোগী সজিবকে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ আরো জানায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে টঙ্গী থানা পুলিশের একটি টিম টুম্পার কথিত প্রেমিক রকি’র সহযোগী সজিবকে প্রথমে মিরপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়। এরপর সজিবকে সঙ্গে নিয়ে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা থেকে রকিকে আটক করা হয়। রকিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সাইফুল হত্যার কথা স্বীকার করে এবং টুম্পাই তার স্বীমীকে হত্যা করিয়েছে এ কথাও স্বীকার করে। এরপর গত ৩০ সেপ্টেম্বর টুম্পার বাড়ী থেকে পুলিশ টুম্পাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য গাজীপুর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরের দিন টুম্পাও স্বামী হত্য করার কথা স্বীকার করে।
এমন চাঞ্চল্যকর বিষয়টি পুলিশের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় গাজীপুরের পুলিশ সুপার আবদ্দুল বাতেন, টুম্পা ও তার কথিত প্রেমিক রকিকে উপস্থিত রেখে এক সংবাদ সম্মেলন করে হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক বিবরন দেন।
পুলিশ সুপার জানান, রকি টুম্পার সাথে ফেইস বুকের মাধ্যমে এক বছর পূর্বে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের দু’জনের মধ্যে গড়ে উঠে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক। টুম্পা-রকির সম্পর্কের কথা সাইফুল যেনে ফেলায় সাইফুল টুম্পার দাম্পত্য জীবনে নেমে আসে কলহ। এরপর টুম্পা-রকির সম্পর্ক স্থায়ী ও সাইফুলের সম্পত্তি, টাকা, স্বর্ণালংকার আত্মসাত করার জন্য সাইফুলকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে তার নিজ ফ্ল্যাটের শয়ন কক্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী টুম্পা ও কথিত প্রেমিক রকির ভাড়াটে আরো ৩ সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যা করে সাইফুলকে। তিনি আরো জানায়, সাইফুলকে হত্যা করার জন্য ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের টুম্পা প্রথমে বিকাশের মাধ্যমে ১২ হাজার টাকা দেয়। ২৪-২৫ রমজানে আরো ৫০ হাজার ও সাইফুলকে মৃত্যু নিশ্চিত করে ৫৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। মোট এক লাখ ১৭ হাজার টাকা দেওয়া হয় সাইফুলকে হত্যা করার জন্য।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন এলাকার তৃপ্তি হোটেলের মালিক মৃত হাজী আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের স্ত্রী টুম্পা ও তার কথিত প্রেমিক রকি ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে তাকে হত্যার পর তার লাশ লাগেজে ভরে স্থানীয় মুদাফা এলাকায় ফেলে রেখে যায়। ওই দিন রাতেই লাগেজ ভর্তি নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। রহস্যজনক কারণে নিহতের ভাই মহিন মাহমুদ মামলার বাদি হতে চাইলেও নাটকীয়ভাবে মামলার বাদি করা হয় সাইফুলের ঘাতক স্ত্রী টুম্পাকে।
পুলিশ সুপার জানান, রকি টুম্পার সাথে ফেইস বুকের মাধ্যমে এক বছর পূর্বে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের দু’জনের মধ্যে গড়ে উঠে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক। টুম্পা-রকির সম্পর্কের কথা সাইফুল যেনে ফেলায় সাইফুল টুম্পার দাম্পত্য জীবনে নেমে আসে কলহ। এরপর টুম্পা-রকির সম্পর্ক স্থায়ী ও সাইফুলের সম্পত্তি, টাকা, স্বর্ণালংকার আত্মসাত করার জন্য সাইফুলকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে তার নিজ ফ্ল্যাটের শয়ন কক্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী টুম্পা ও কথিত প্রেমিক রকির ভাড়াটে আরো ৩ সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যা করে সাইফুলকে। তিনি আরো জানায়, সাইফুলকে হত্যা করার জন্য ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের টুম্পা প্রথমে বিকাশের মাধ্যমে ১২ হাজার টাকা দেয়। ২৪-২৫ রমজানে আরো ৫০ হাজার ও সাইফুলকে মৃত্যু নিশ্চিত করে ৫৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। মোট এক লাখ ১৭ হাজার টাকা দেওয়া হয় সাইফুলকে হত্যা করার জন্য।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন এলাকার তৃপ্তি হোটেলের মালিক মৃত হাজী আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের স্ত্রী টুম্পা ও তার কথিত প্রেমিক রকি ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে তাকে হত্যার পর তার লাশ লাগেজে ভরে স্থানীয় মুদাফা এলাকায় ফেলে রেখে যায়। ওই দিন রাতেই লাগেজ ভর্তি নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। রহস্যজনক কারণে নিহতের ভাই মহিন মাহমুদ মামলার বাদি হতে চাইলেও নাটকীয়ভাবে মামলার বাদি করা হয় সাইফুলের ঘাতক স্ত্রী টুম্পাকে।
COMMENTS