মামুন রহমান : ডা. জোবায়দা রহমান কার্ডিওলজিতে ডিস্টিংশনসহ উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেছেন গত কদিন গাজীপুরঅনলাইনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংবাদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের প্রখ্যাত চিকিৎসকরা। তাদের ভাষ্য, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য নিজেদের আলোচনায় আনতে এ কাজ করা হয়েছে। মূলত তার এ কোর্স নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট বিতর্ক। এ ডিগ্রিকে ভুয়া ডিগ্রি বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে- “ডা. জোবায়দা লন্ডনের স্বনামধন্য ‘ইমপেরিয়াল ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিন’ থেকে সব ছাত্রছাত্রীর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মাস্টার্স অব কার্ডিওলজি ডিগ্রি অর্জন করেন। মোট ৪ বছরের মাস্টার্স অব কার্ডিওলজিতে (এমএসসি ইন কার্ডিওলজি) তিনি ডিস্টিংশনসহ শতকরা ৮৩ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এ কোর্সে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউই), কমনওয়েলথভুক্ত দেশ, নাইজেরিয়া, চীনসহ মোট ৫৫টি দেশের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ডা. জোবায়দা রহমান প্রথম হয়েছেন।”
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে- “ডা. জোবায়দা লন্ডনের স্বনামধন্য ‘ইমপেরিয়াল ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিন’ থেকে সব ছাত্রছাত্রীর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মাস্টার্স অব কার্ডিওলজি ডিগ্রি অর্জন করেন। মোট ৪ বছরের মাস্টার্স অব কার্ডিওলজিতে (এমএসসি ইন কার্ডিওলজি) তিনি ডিস্টিংশনসহ শতকরা ৮৩ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এ কোর্সে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউই), কমনওয়েলথভুক্ত দেশ, নাইজেরিয়া, চীনসহ মোট ৫৫টি দেশের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ডা. জোবায়দা রহমান প্রথম হয়েছেন।”
কিন্তু চিকিৎসকরা প্রশ্ন তুলেছেন, প্রথমত, মাস্টার্স কোর্স ৪ বছরের নেই, ১ বছরের। দ্বিতীয়ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে রয়েছে অসঙ্গতি। প্রকাশ করা হয়েছে- ‘ইমপেরিয়াল ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিন’ থেকে ডিগ্রি অর্জন। কিন্তু এ নামে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা গেছে প্রতিষ্ঠানটির মূল নাম ‘ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন’। তাছাড়া যে কোর্স এর কথা বলা হয়েছে, সে কোর্স ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই!
চিকিৎসকরা জানান, ডা. জোবায়দার এ কোর্স ক্লিনিক্যাল নয়, অ্যাকাডেমিক। রোগী দেখায় এটি কোনো কাজে আসবে না। তাছাড়া এ কোর্সের বলে তিনি নিবন্ধনও পাবেন না। তাহলে কেন এটিকে এভাবে প্রচার করা হচ্ছে? এটি আহামরি এমন কিছু নয়। তারা দাবি করেন- আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজেদের আলোচনায় আনতেই এ পথ বেছে নেয়া হয়েছে।
COMMENTS