নাহিদ শাহরিয়ার রাজঃ সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে মহাসচিব পর্যায়ে সংলাপে বসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদার কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন ব্যবাসায়ী নেতার।
শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ।
শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে কাজী আকরাম বলেন, ‘ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের মহাসচিব পর্যায়ে সংলাপে বসার জন্য নিঃশর্তভাবে আমরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে প্রস্তাব করেছি। জবাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেছেন, আপনারা শুরু করেন, আমরা রাজি আছি।’
কাজী আকরাম বলেন, ‘দেশ ও জাতির কথা চিন্তা করে, আমরা ব্যবসায়ী সম্প্রদায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমপাদের কথা শুনেছেন। ওনার দলে যেসব ব্যবসায়ী রয়েছেন তারাও কথা বলেছেন। খালেদা জিয়া প্রায় এক ঘণ্টা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।’
আকরাম বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ব্যবসা করতে চাই। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কেবল রাজনীতির জন্য নয়, ব্যবসা করতে আমরাও এ ধরনের ফিল্ড চাই।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছেন। অন্যদিকে বিরোধীদলীয় নেতা একটি নির্দলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা বেগম জিয়াকে বলেছি, উভয় প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন। তবে আলোচনা নিঃশর্তভাবে করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেগম জিয়া যেহেতু আলোচনায় রাজি, সেহেতু আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাল বা পড়শু বসার চেষ্টা করবো। প্রধানমন্ত্রী যদি সময় দেন তাহলে দু-একদিনের মধ্যে বসার ব্যবস্থা করবো।’
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘যদি সবাই পাশে থাকে, তাহলে ব্যবসায়ীদের এই উদ্যোগ সফল হবে। আমরা মনে করবো আমাদের তারা মূল্যায়ন করেছেন।’
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনাদের সংবাদ প্রকাশের কারণে অনেক ভালো কাজ হয়, এমনটা করবেন না যাতে উল্টোটা হয়।’
হরতাল প্রত্যাহার করা প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ ব্যাপারে কথা হয়নি। বন্ধুত্ব বলেন আর মধ্যস্থতাকারী বলুন আমরা সবার সঙ্গেই আছি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দলের অবস্থান তুলে ধরে বলেন, ‘দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ নির্দলীয় সরকার দাবির পক্ষে। দেশের জনগণের চাহিদা সেটাই। ব্যবসায়ীরা যে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে তাকে বিএনপি চেয়ারপারসন স্বাগত জানিয়েছেন। আলোচনায় বসলে নির্দলীয় সরকারের বিষয়টি উঠে আসবে। বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, শর্ত বিষয় নয়; আগে আলোচনা শুরু হওক। তার পরে দেখা যাবে।’
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতা সংলাপের ব্যাপারে নেতিবাচক নন; ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। আামরা মনে করি দুইদল নয়, দেশের মালিক জনগণ। দেশের মানুষ চাহিদা সমঝোতা, তাই উদ্যোগের মাধ্যমে সসঝোতার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলে খালেদা জিয়া স্বাগত জানাবেন।’
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ, ওসমান ফারুক, আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, সদস্য কাজী মনিজ্জামান।
ব্যবসায়ীদের পক্ষে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, মীর নাসির হোসেন, আকরাম হোসেন, একে আজাদ, আনিসুল হক, এমএ কাশেম, সংগঠনের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, মো. হেলাল উদ্দিন, সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম আহমেদ, মো. আলী, জসিম উদ্দিন, দেওয়ান সুলতান আহমেদ, কামাল উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সবুর খান, বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম, বিটিএমএর সভাপতি জাহাঙ্গীর আল আমিন, এমসিসির সভাপতি রোকেয়া আফজাল।
এফবিসিসিআইর পরিচালক আবদুল হক, আনোয়ার সাদাত সরকার, বজলুর রহমান, মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সাফকাত হায়দার, মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, আনোয়ার হোসেন, আবু মোতালেব, কোহিনুর ইসলাম, প্রবীর কুমার শাহা, আবদুর রাজ্জাক, জালাল উদ্দিন, একেএম শাহিদ রেজা, শফিকুল ইসলাম ভরসা, এমএ মোমেন, আবদুল ওয়াহেদ, জালাল উদ্দিন আহমেদ ইয়ামীন, হারুণ-উর রশিদ, কেএম আখতারুজ্জামান, তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটু, শাহজালাল মজুমদার, প্রকৌশলী মোহাব্বত উল্লাহ, আবদুল মোক্তাদির, কাজী শাহনেয়াজ প্রমুখ।
COMMENTS