গাজীপুর সিটির ২৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় দেলোয়ার হোসেন লাবলু নামে এক ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসায় হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে বন বিভাগের এক বিট অফিসারের লোকজন।
এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী লাবলু জানান, হামলার নেতৃত্বে ও চাঁদা দাবি করা ব্যক্তি বন বিভাগের লোক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোনো তদন্তে যাচ্ছে না পুলিশ।
সাধারণ ডায়েরি ও ব্যবসায়ীর অভিযোগে জানা গেছে, ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন লাবলু গাজীপুর সিটির উত্তর শালনা জোলার পাড় রোড়ে বাওয়া পাড়া ন্যাশনাল পার্কের কাছে জমি কিনে বাড়ি করেন। বাড়ির সঙ্গেই তিনি একটি কাজগের বুবিং ফ্যাক্টরি গড়ে তোলেন। ওই ফ্যাক্টরির আয় দিয়েই চলত লাবলুর সংসার। কিন্তু ন্যাশনাল পার্কের তদারকিতে থাকা বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট বিট অফিসার মো. মহসিন লাবলুর কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
মহসিনের যুক্তি লাবলুর ফ্যাক্টরি ও বাড়ির কিছু অংশ বন বিভাগের মধ্যে পড়েছে। কিন্তু লাবলু এ চাঁদা দিতে অস্বীকার করে দলিল দেখান। এতে বন কর্মকর্তা মহসিন ক্ষেপে গিয়ে হুমকি দেন, ১ লাখ টাকা না দিলে সরকারি জমি দেখিয়ে ফ্যাক্টরি ও বাড়ি দখল করা হবে। এ সময় আর কোনো উপায় না পেয়ে লাবলু বন বিভাগ কর্মকর্তা বিট অফিসার মহসিনকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা পরিশোধ করেন।
কিন্তু এরপরও বিট অফিসার মহসিন স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সহায়তা নিয়ে গত ১৪ মার্চ রাত ১১টায় ব্যবসায়ী লাবলুর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ওই বাড়ি থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও ফ্যাক্টরির মালামালসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার সম্পদ লুটে নেয়।
এ ঘটনায় পরদিন ১৫ মার্চ জয়দেবপুর থানায় হামলাকারী বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা মহসিন, সহযোগি আব্দুল আওয়ালসহ অজ্ঞাত নামা আরো ১৭-১৮ জনকে আসামী করে একটি সাধারণ ডায়েরি (নং ১১১৯) করেন ব্যবসায়ী লাভলুর শ্বশুর আব্দুল সালাম খান। কিন্তু সাধারণ ডায়েরির ৪ দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযোগ রয়েছে প্রভাবশালী মহলের নির্দেশে পুলিশ তদন্তে যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জয়দেবপুর থানার ওসি কামরুজ্জামান জানান, প্রতিদিন অসংখ্য জিডি হয়। এসব জিডি তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে সময় সাপেক্ষ।
COMMENTS