আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি২০ উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানের ছুঁড়ে দেয়া ৭৩ রানের লক্ষ্যে দাপটের সাথে সূচনা করে ০৯ উকেটে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ।
রবিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি আফগানিস্তান। ১৭ ওভার ১ বলে ৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় অতিথি দলটি। জবাবে ১২ ওভারে তামিম ইকবালের উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তামিমের সঙ্গে এনামুলের ৪৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের সহজ জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। তামিম সামিউল্লাহ সেনওয়ারির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়লে ভাঙে ৭.৪ ওভার স্থায়ী জুটি। সাকিব আল হাসানকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারতে কোনো সমস্যা হয়নি এনামুলের।
প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হেরে গেলেও তাদের বিপক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক টি২০ নিজেদের সবচেয়ে বড় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
উইকেটের দিক থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ২০১২ সালের জুলাইয়ে দ্য হেগে স্বাগতিকদের ৮ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
এর আগে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে সে লক্ষ্যে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার বলটি লংঅফের উপর দিয়ে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ শাহজাদ। কাভারের দিকে অনেকখানি দৌড়ে ক্যাচটি তালুবন্দী করেন মিডঅফে ফিল্ডিং করা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সাকিব আল হাসানের করা ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে লংঅনে গুলবাদিন নাইবের দেয়া সহজ ক্যাচ হাত থেকে ফেলে দেন সাব্বির রহমান। তবে এর জন্য চার রান খেসারত দিয়েই পার পেয়ে যান তিনি। কারণ পরের বলেই লংঅন থেকে অনেকখানি দৌড়ে তুলনামূলক কঠিন ক্যাচ তালুবন্দী করে নাইবকে বিদায় করেন সাব্বির।
পরের বলেই মিডউইকেটে নাসির হোসেনকে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নাজীব তারাকাই।
পরের ওভারের প্রথম বলে সাব্বিরের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে বিদায় নেন নওরোজ মঙ্গল। ৩৬/১ থেকে আফগানিস্তানের স্কোর পরিণত হয় ৩৬/৪-এ।
দশম ওভারে অতিথি দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। তার পরের ওভারের শেষ বলে ফরহাদ রেজার সরাসরি থ্রোয়ে রান-আউট হয়ে যান আফগানিস্তানের আরেক ব্যাটিং ভরসা করিম সাদিক।
এক সময়ে ৬৯/৬ রানে পৌঁছানো আফগানিস্তান একশ’ রানের স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু মাত্র ৩ রানে শেষ চার উইকেট হারানোয় টি২০ নিজেদের সর্বনিম্ন রানের লজ্জা এড়াতে পারেনি দেশটি। তাদের আগের সর্বনিম্ন রান ছিল ৮০, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কলম্বোয় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
১৪ থেকে ১৮ এই চার ওভারে একটি করে উইকেট নেন রাজ্জাক, মাহমুদুল্লাহ, ফরহাদ রেজা ও সাকিব।
৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার সাকিব। রাজ্জাক ২ উইকেট নেন ২০ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ১৭.১ ওভারে ৭২ (শাহজাদ ০, নাজীব ৭, নাইব ২১, মঙ্গল ০, নবী ৩, সাদিক ১০, শফিকুল্লাহ ১৬, সামিউল্লাহ ১, দৌলত ১, শাপুর ১, আফতাব ০*; সাকিব ৩/৮, রাজ্জাক ২/২০, ফরহাদ ১/২, মাহমুদুল্লাহ ১/৮, মাশরাফি ১/৮)
বাংলাদেশ: ১২ ওভারে ৭৮/১ (তামিম ২১, এনামুল ৪৪*, সাকিব ১০*; সামিউল্লাহ ১/১৪)।
প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হেরে গেলেও তাদের বিপক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক টি২০ নিজেদের সবচেয়ে বড় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
উইকেটের দিক থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ২০১২ সালের জুলাইয়ে দ্য হেগে স্বাগতিকদের ৮ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
এর আগে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে সে লক্ষ্যে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার বলটি লংঅফের উপর দিয়ে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ শাহজাদ। কাভারের দিকে অনেকখানি দৌড়ে ক্যাচটি তালুবন্দী করেন মিডঅফে ফিল্ডিং করা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সাকিব আল হাসানের করা ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে লংঅনে গুলবাদিন নাইবের দেয়া সহজ ক্যাচ হাত থেকে ফেলে দেন সাব্বির রহমান। তবে এর জন্য চার রান খেসারত দিয়েই পার পেয়ে যান তিনি। কারণ পরের বলেই লংঅন থেকে অনেকখানি দৌড়ে তুলনামূলক কঠিন ক্যাচ তালুবন্দী করে নাইবকে বিদায় করেন সাব্বির।
পরের বলেই মিডউইকেটে নাসির হোসেনকে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নাজীব তারাকাই।
পরের ওভারের প্রথম বলে সাব্বিরের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে বিদায় নেন নওরোজ মঙ্গল। ৩৬/১ থেকে আফগানিস্তানের স্কোর পরিণত হয় ৩৬/৪-এ।
দশম ওভারে অতিথি দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। তার পরের ওভারের শেষ বলে ফরহাদ রেজার সরাসরি থ্রোয়ে রান-আউট হয়ে যান আফগানিস্তানের আরেক ব্যাটিং ভরসা করিম সাদিক।
এক সময়ে ৬৯/৬ রানে পৌঁছানো আফগানিস্তান একশ’ রানের স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু মাত্র ৩ রানে শেষ চার উইকেট হারানোয় টি২০ নিজেদের সর্বনিম্ন রানের লজ্জা এড়াতে পারেনি দেশটি। তাদের আগের সর্বনিম্ন রান ছিল ৮০, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কলম্বোয় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
১৪ থেকে ১৮ এই চার ওভারে একটি করে উইকেট নেন রাজ্জাক, মাহমুদুল্লাহ, ফরহাদ রেজা ও সাকিব।
৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার সাকিব। রাজ্জাক ২ উইকেট নেন ২০ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ১৭.১ ওভারে ৭২ (শাহজাদ ০, নাজীব ৭, নাইব ২১, মঙ্গল ০, নবী ৩, সাদিক ১০, শফিকুল্লাহ ১৬, সামিউল্লাহ ১, দৌলত ১, শাপুর ১, আফতাব ০*; সাকিব ৩/৮, রাজ্জাক ২/২০, ফরহাদ ১/২, মাহমুদুল্লাহ ১/৮, মাশরাফি ১/৮)
বাংলাদেশ: ১২ ওভারে ৭৮/১ (তামিম ২১, এনামুল ৪৪*, সাকিব ১০*; সামিউল্লাহ ১/১৪)।
COMMENTS