জাতীয় পার্টির নেতারা সব সময় আলোচনায় থাকতে ভালবাসে আর এজন্যই সবসময় নানা বিতর্কে জন্ম দেন। এবার মহাসচিব পদ নিয়ে জাতীয় পার্টিতে চলছে তুলকালাম কান্ড । জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মহাসচিব পদ থেকে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে বাদ দিয়েছেন। মহাসচিবের পদে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান ও চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেদ সোহেল রানার মধ্যে যেকোন একজনকে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন এরশাদ। এ নিয়ে এরশাদপন্থী জ্যেষ্ঠ নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করছেন।
এরশাদ বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানতে চাইলেও তারা এখনও চুড়ান্ত মতামত দেননি বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান অসুস্থ থাকায় সোহেল রানাই হবেন বলে ধারনা সবার।
অন্যদিকে, দলের কোনও কাউন্সিল ছাড়াই সংবিধান অনুযায়ী চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব পদ থেকে বাদ দেওয়ায় রওশনপন্থি শিবিরে শুরু হয়েছে আতঙ্ক।
সূত্রমতে, ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা বিরুদ্ধে যান তাদের চিহ্নিত করেন এরশাদ। তাদের মধ্যে রওশনপন্থী হিসেবে পরিচিত বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে দলের দপ্তর সম্পাদক ও কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেন এরশাদ। এরপরই মহাসচিব পদের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেন তিনি ।
গত সোমবার রাতে বাড়িধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসায় সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক মহাসচিব পদ থেকে রুহুল আমিন হাওলাদারকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এরশাদ। এরপর এরশাদ অব্যহতি পত্রে সাক্ষর করেন। গত মঙ্গলবার সকালে ওই চিঠি মহাসচিবের বাসায় পৌছে দেওয়া হয়। চিঠি পাওয়ার পর পদ আকরে ধরে থাকতে রুহুল আমিন হাওলাদার পার্টির চেয়ারম্যানের কাছে ছুটে যান। ধর্না দেন তার বাসায়। এমনকী বিরোধী দলীয় নেতা এরশাদপন্থি রওশনকে বিষয়টি জানান। প্রায় এক যুগ ধরে থাকা এই পদটি ফিরে পাওয়ার জন্য এরশাদকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেস্টা করেন হাওলাদার।কিন্তু তার কোন কথায় আমলে নেয়নি এরশাদ। রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আমাকে দিয়ে চক্রান্ত চলছে। তাদের এই মিশন সফল হবে না। এরশাদ(স্যার) এর ভূল ভেঙ্গে যাবে।
জাপা’র একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্যের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিতর্কিত ভূমিকার কারণে মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে আর আস্থায় নিতে পারছেন না দলের চেয়ারম্যান এরশাদ। চেয়ারম্যানের নির্দেশ সত্ত্বেও মহাসচিবের মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় ক্ষুদ্ধ হন তিনি। এরশাদকে র্যাব আটকের ঘটনায় মহাসচিবের ভূমিকায় অসন্তষ্ট তিনি। ওই সময় মহাসচিব বলেছিলেন, এরশাদ অসুস্থ তাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরদিনও একই কথা বলে নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েছিলেন তিনি।
দলীয় সূত্র বলছে, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই মহাসচিবকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন এরশাদ। ওই পদে বসাতে চেয়ে ছিলেন নব্বইয়ে ‘এরশাদ মুক্তি আন্দোলনে’ কারা নির্যাতিত নেতা প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খানকে। কিন্তু দেলোয়ার হোসেন শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ওই পদ গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। পরে তাকে অতিরিক্ত মহাসচিব করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও সায় দেননি তিনি।
জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি শারীরিক অসুস্থতার কারণে পার্টির চেয়ারম্যানের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, মহাসচিব পরিবর্তন হচ্ছেন কিনা জানি না।তবে দ্বিমুখী নেতাদের দলে না রাখা ভালো।
এরশাদের প্রেস ও পলিটিক্যাল সচিব সুনিল শুভ রায় বলেন, পরিবর্তন হলে জানবেন তবে এখানো পরিবর্তন হয়নি।
অন্যদিকে, দলের কোনও কাউন্সিল ছাড়াই সংবিধান অনুযায়ী চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব পদ থেকে বাদ দেওয়ায় রওশনপন্থি শিবিরে শুরু হয়েছে আতঙ্ক।
সূত্রমতে, ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা বিরুদ্ধে যান তাদের চিহ্নিত করেন এরশাদ। তাদের মধ্যে রওশনপন্থী হিসেবে পরিচিত বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে দলের দপ্তর সম্পাদক ও কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেন এরশাদ। এরপরই মহাসচিব পদের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেন তিনি ।
গত সোমবার রাতে বাড়িধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসায় সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক মহাসচিব পদ থেকে রুহুল আমিন হাওলাদারকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এরশাদ। এরপর এরশাদ অব্যহতি পত্রে সাক্ষর করেন। গত মঙ্গলবার সকালে ওই চিঠি মহাসচিবের বাসায় পৌছে দেওয়া হয়। চিঠি পাওয়ার পর পদ আকরে ধরে থাকতে রুহুল আমিন হাওলাদার পার্টির চেয়ারম্যানের কাছে ছুটে যান। ধর্না দেন তার বাসায়। এমনকী বিরোধী দলীয় নেতা এরশাদপন্থি রওশনকে বিষয়টি জানান। প্রায় এক যুগ ধরে থাকা এই পদটি ফিরে পাওয়ার জন্য এরশাদকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেস্টা করেন হাওলাদার।কিন্তু তার কোন কথায় আমলে নেয়নি এরশাদ। রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আমাকে দিয়ে চক্রান্ত চলছে। তাদের এই মিশন সফল হবে না। এরশাদ(স্যার) এর ভূল ভেঙ্গে যাবে।
জাপা’র একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্যের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিতর্কিত ভূমিকার কারণে মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে আর আস্থায় নিতে পারছেন না দলের চেয়ারম্যান এরশাদ। চেয়ারম্যানের নির্দেশ সত্ত্বেও মহাসচিবের মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় ক্ষুদ্ধ হন তিনি। এরশাদকে র্যাব আটকের ঘটনায় মহাসচিবের ভূমিকায় অসন্তষ্ট তিনি। ওই সময় মহাসচিব বলেছিলেন, এরশাদ অসুস্থ তাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরদিনও একই কথা বলে নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েছিলেন তিনি।
দলীয় সূত্র বলছে, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই মহাসচিবকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন এরশাদ। ওই পদে বসাতে চেয়ে ছিলেন নব্বইয়ে ‘এরশাদ মুক্তি আন্দোলনে’ কারা নির্যাতিত নেতা প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খানকে। কিন্তু দেলোয়ার হোসেন শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ওই পদ গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। পরে তাকে অতিরিক্ত মহাসচিব করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও সায় দেননি তিনি।
জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি শারীরিক অসুস্থতার কারণে পার্টির চেয়ারম্যানের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, মহাসচিব পরিবর্তন হচ্ছেন কিনা জানি না।তবে দ্বিমুখী নেতাদের দলে না রাখা ভালো।
এরশাদের প্রেস ও পলিটিক্যাল সচিব সুনিল শুভ রায় বলেন, পরিবর্তন হলে জানবেন তবে এখানো পরিবর্তন হয়নি।
COMMENTS